রাষ্ট্রের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে নিয়ে সরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতাকে আড়াল করতে চায় বলে অভিযোগ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) হিসেবে ঘোষণা করে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। গত রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, বর্তমানে তথ্য পাওয়ার অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য অধিকার আইনে তা স্বীকার করা হলেও এ প্রজ্ঞাপন তার লঙ্ঘন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে জনমানুষের বাকস্বাধীনতা, মতামত প্রকাশ, সমালোচনার অধিকারকে খর্ব করে চলেছে।

তাঁরা বলেন, আইন অনুযায়ী দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। জনগণের কাছে সরকার জবাবদিহি করতে বাধ্য। কিন্তু দেশের বাস্তবতায় সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে, যেখানে জবাবদিহির বালাই নেই। একের পর এক বিবর্তনমূলক আইন, বিধান, অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দুর্নীতি, লুণ্ঠনকে আইনি বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ২৯ প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা এমনই একটি অপপ্রয়াস মাত্র। এ ঘোষণা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান তাঁরা।