লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ‘বর্তমান নিশিরাতের বিনা ভোটে প্রশাসন দ্বারা নির্বাচিত অবৈধ সরকারের সীমাহীন অদক্ষতা, লাগামহীন দুর্নীতি, জবাবদিহিহীনতা, সুশাসনের অভাব, মানবাধিকার লংখন, সর্বত্র দলীয়করণ, বিচারহীনতা, এক দলীয় শাসন, খুন, গুমসহ সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংসকরণ এবং নিত্য পণ্যের দ্রব্য মূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বোপরি বেকার সমস্যার কারণে সরকার ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়েছে। ছয় মাস আগেও ধৈর্য্য ধরে এবং ভয়ে মানুষ চুপচাপ ঘরে বসে ছিল। কিন্তু গত দুই মাস প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। অমানবিক কষ্ট সহ্য করে, ভয়কে জয় করে, নিজের পয়সা খরচ করে, স্বউদ্যোগে জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিএনপির জনসভাগুলিতে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে মানুষজন, যা অকল্পনীয়।’

রাজধানীর এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির পার্টি অফিসে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো সংবিধান অনুযায়ী, আইন অনুসরণ করেও সরকারের অনুমতি ছাড়া জনসভা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে না। অথচ আওয়ামী লীগ পুলিশি প্রহরায়, যখন ইচ্ছা যত্রতত্র জনসভা এবং সমাবেশ করে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন উপায়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরকার দলীয় অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী ক্যাডারেরা প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করে, বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় কর্মকাণ্ডগুলোকে বানচাল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় বিএনপির সাত-আটজন নেতাকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করেছে। কয়েকশ নতুন মিথ্যা মামলা করেছে। হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে হয়রানি করার জন্য আসাসি করা হয়েছে।’ 

ড অলি আহমদ বলেন, ‘পুলিশের নির্যাতনের কারণে অনেকে নিজের ঘরে ঘুমাতে পারেন না। কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ এবং তাদের নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য, অবৈধ সরকারকে নগ্নভাবে অবৈধ কর্মকাণ্ডে সাহায্য করে যাচ্ছে। সরাসরি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। যে বা যারা অতীতে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল, তাদের কিন্তু শেষ পরিণতি সুখকর হয়নি। সরকার তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।’

এলডিপির সভাপতি বলেন, ‘আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হয় খুব দ্রুত অর্থনৈতিক ধ্বংস এবং সংঘাতের দিকে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকারকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। তাদের পক্ষে বর্তমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা নাই এবং অন্যদিকে রক্তপাত এড়ানো সম্ভব হবে কিনা জানি না।’