বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় নেতারা বলেছেন, সারাদেশে চলমান বিভাগীয় গণসমাবেশ 'নস্যাৎ করার হীন চক্রান্তে অবৈধ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করছে।' 'গায়েবি মিথ্যা মামলা' দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হয়রানি করছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এ সভা হয়।

সভার বিষয়বস্তু তুলে ধরে বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সরকার বেআইনিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের ন্যায়সঙ্গত গণআন্দোলনকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে।' বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- এরই মধ্যে ভোলা এবং নারায়ণগঞ্জে দু'জন করে এবং মুন্সীগঞ্জ, যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটে একজন করে নেতাকর্মী পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন। এতে বলা হয়, সরকার তাদের কর্তৃত্ববাদী ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য হত্যা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার করে সর্বগ্রাসী ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে।

স্থায়ী কমিটির সভায় এসব কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে হত্যার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং তাঁদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে মিথ্যা গায়েবি মামলা দায়ের অবিলম্বে বন্ধ এবং ইতোমধ্যে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।

সভায় বলা হয়, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি তেল, গ্যাস এবং পানির মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের আবারও ১৯.৯২ ভাগ মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় নেতারা বলেন, সরকারের ভ্রান্ত জ্বালানী নীতি, বিদ্যুৎ উৎপাদনে চরম দুর্নীতি ও কুইক রেন্টাল প্লান্টের বেআইনি ক্যাপাসিটি চার্জ ও সর্বোপরি নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে ঘন ঘন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি চলমান অনৈতিক সংকটে জনগণের দুর্ভোগসীমা অতিক্রম করছে। অবিলম্বে এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়েছে দলটি।