- রাজনীতি
- ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামলে জনগণ উচিৎ শিক্ষা দেবে : হানিফ
ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামলে জনগণ উচিৎ শিক্ষা দেবে : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি পায়ে পারা দিয়ে গোলযোগ করতে চায়। তারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন জায়গায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ ডেকেছে। তাদের ভাবখানা এমন যেন ১০ তারিখের পর সরকাই থাকবে না। দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই, ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মাস। এ মাস কোন রাজাকার-আলবদরদের হতে পারে না। ডিসেম্বর মাসে ষড়যন্ত্র করতে যদি মাঠে নামেন তাহলে উচিৎ শিক্ষা জনগণ দিয়ে দিবে।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ঢাকায় নাকি তারা ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারা পল্টনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু তাদের জনসমাবেশের সংখ্যা দেখে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশের জন্য ভালো হবে। তারা সেখানে সমাবেশ করবেন না। পল্টনেতো ৫০/৬০ হাজারের বেশি লোকের জায়গা হবে না। তারপরও কেন তারা সেখানে করতে চায়। কারণ দুইটি। এক হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। এখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখানেই ৭১ সালে পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই কারণেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাজাকার-আলবদরদের জন্য একটি মনোকষ্টের জায়গা।
তিনি বলেন, নয়াপল্টনে তাদের অফিসের সামনে লোকজন জমায়েত করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সরকারকে বিব্রত করতে চায়- এটি তাদের আরেকটি লক্ষ্য। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজলে তার উচিৎ জবাব দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে যদি দুর্বল ভাবেন তাহলে ভুল করবেন। ২০১৩, ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছেন। সেই অপকর্মের জন্য যে শক্তি ভোগ করতে হয়েছে আগামীতে এমন অপরাধের জন্য তার চেয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে আপনাদের । রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেসময় এদেশের রাজনীতির আরেকটি পক্ষ একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বিএনপি ও জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী কিছু অপশক্তি একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। তাদের লক্ষ্য এদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা। তারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে কিছু দিতে পারেনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। অশুভ শক্তি এদেশকে যেন আর কখনো পিছিয়ে নিতে না পারে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতাকে রুখে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে এদেশের সবচে বৃহৎ ও প্রাচীন সংগঠন। এদেশের যা কিছু অর্জন সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আর আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি হচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মী। অনেক সংকটের মধ্যে থেকেও তৃণমূল নেতাকর্মীদের কারণেই আওয়ামী লীগ বারবার ঘুরে দাড়িয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্রগ্রাম বিভাগ) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন