আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর সভামঞ্চে বসেন তিনি।

এসময় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক।

প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ স্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। 

এর আগে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সম্মেলনস্থলে সমবেত হয়েছেন। সংগঠনের নারী নেত্রীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত হন।

সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। একদিকে শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন, অন্যদিকে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাপলা চত্বর পর্যন্ত ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। 

সম্মেলন কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা নিজের অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে আসছিলেন। সন্ধ্যা হলেই নিজ অনুসারীদের নিয়ে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিছিল করছিলেন তারা।

এবার সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৪ মার্চ সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সাবেক এমপি সাফিয়া খাতুনকে সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম কৃককে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। এ ছাড়া সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরে সাবেক এমপি শাহিদা তারেক দীপ্তি সভাপতি ও শবনম শীলা সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সাবেরা বেগম সভাপতি ও নার্গিস রহমান সাধারণ সম্পাদক হন।

গঠনতন্ত্র অনুসারে তিন বছর পরপর জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবার করোনা সংকটসহ নানা কারণে নির্ধারিত সম্মেলন হতে পারেনি। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় সংগঠনের নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা ছিল। এ অবস্থায় গত ৪ নভেম্বর আওয়ামী লীগের অন্য দুই মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে মহিলা আওয়ামী লীগের তারিখ নির্ধারণ করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।