- রাজনীতি
- আ'লীগের 'একক' নির্বাচনী তৎপরতায় প্রশ্ন শরিকদের
আ'লীগের 'একক' নির্বাচনী তৎপরতায় প্রশ্ন শরিকদের

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের 'একক' নির্বাচনী তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ১৪ দলের শরিকরা। নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও এখনই ক্ষমতাসীন দলটির এককভাবে প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়ারও সমালোচনা করছেন শরিক দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, ১৪ দলকে যুক্ত না করেই আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চাইতে শুরু করেছেন। তাহলে জোটগত নির্বাচনের কী হবে?
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসভবনে বৈঠকে শরিক দলগুলোর নেতারা এসব প্রশ্ন তোলেন বলে সূত্র জানায়। এ সময় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের 'নাক গলানো'য় ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তাঁরা। একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত মোকাবিলায় ১৪ দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ দেন।
শরিক দলগুলোর দাবির মুখে বৈঠকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের পর ১৪ দলের ব্যানারে সারাদেশের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলায় জেলায় জোটের কার্যক্রম সক্রিয় করার পাশাপাশি সভা-সমাবেশ আয়োজন করা হবে। তবে সভা-সমাবেশের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে জোটগতভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে ১৪ দল। এছাড়া চলতি মাসে বিএনপি-জামায়াতের 'দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ১৪ দলের শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগের 'একক নির্বাচনী তৎপরতা' শুরুর বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো বিভিন্ন জনসভায় এখনই ভোটের কথা বলতে শুরু করেছেন। তাহলে আমরাও কি ভোটের কথা বলব, নাকি বসে থাকব? সেটাও পরিস্কার হওয়া দরকার।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচন বিষয়ে জোটগত আলোচনা হওয়া দরকার। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে মেনন বলেন, বিদেশিরা কেন এত কথা বলেন? জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন- আগামী নির্বাচনেও ১৪ দল জোটগতভাবে অংশ নেবে।
বৈঠকে দেশের বিভিন্ন সংকট বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি খাদ্য, গ্যাস ও জ্বালানি সংকট, ব্যাংকে অর্থ না থাকাসহ বহুমুখী সংকট চলছে। এই সময় কোনো পাগলেও সরকার চালানোর দায়িত্ব নেবে না। তার পরও এসব সংকট মোকাবিলার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সরকারের অগ্রসর হওয়া দরকার। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ূয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ১৪ দলীয় জোটকে অটুট রাখা দরকার। জোটের ভিত্তিতেই আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
বৈঠকে ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির 'সন্ত্রাস-নৈরাজ্য' ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ জানান ১৪ দল নেতারা।
বৈঠকে তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসভবনে বৈঠকে শরিক দলগুলোর নেতারা এসব প্রশ্ন তোলেন বলে সূত্র জানায়। এ সময় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের 'নাক গলানো'য় ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তাঁরা। একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত মোকাবিলায় ১৪ দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ দেন।
শরিক দলগুলোর দাবির মুখে বৈঠকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের পর ১৪ দলের ব্যানারে সারাদেশের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলায় জেলায় জোটের কার্যক্রম সক্রিয় করার পাশাপাশি সভা-সমাবেশ আয়োজন করা হবে। তবে সভা-সমাবেশের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে জোটগতভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে ১৪ দল। এছাড়া চলতি মাসে বিএনপি-জামায়াতের 'দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ১৪ দলের শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগের 'একক নির্বাচনী তৎপরতা' শুরুর বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো বিভিন্ন জনসভায় এখনই ভোটের কথা বলতে শুরু করেছেন। তাহলে আমরাও কি ভোটের কথা বলব, নাকি বসে থাকব? সেটাও পরিস্কার হওয়া দরকার।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচন বিষয়ে জোটগত আলোচনা হওয়া দরকার। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে মেনন বলেন, বিদেশিরা কেন এত কথা বলেন? জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন- আগামী নির্বাচনেও ১৪ দল জোটগতভাবে অংশ নেবে।
বৈঠকে দেশের বিভিন্ন সংকট বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি খাদ্য, গ্যাস ও জ্বালানি সংকট, ব্যাংকে অর্থ না থাকাসহ বহুমুখী সংকট চলছে। এই সময় কোনো পাগলেও সরকার চালানোর দায়িত্ব নেবে না। তার পরও এসব সংকট মোকাবিলার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সরকারের অগ্রসর হওয়া দরকার। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ূয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ১৪ দলীয় জোটকে অটুট রাখা দরকার। জোটের ভিত্তিতেই আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
বৈঠকে ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির 'সন্ত্রাস-নৈরাজ্য' ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ জানান ১৪ দল নেতারা।
বৈঠকে তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন