জনগণের ঐক্যই সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে।

শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির শত শত নেতাকর্মী এদিন শোভাযাত্রা করেন। এর আগে মুক্তিযুদ্ধের শহীদসহ সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মী ছাড়াও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) লিবারেশন ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতো লড়াকু দল আছে বলেই এখনও আশা আছে, ভরসা আছে। তাদের জানবাজি লড়াইয়ের মাধ্যমে দুঃসময়কে আমরা অতিক্রম করব। সমাজতন্ত্র ছাড়া দেশ ও জনগণের মুক্তি নেই। বিপল্গবী ওয়ার্কার্স পার্টি এ সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবে।

পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সবার ঐক্যের মাধ্যমে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে, তাতে এই সরকারের বিদায় হবে। আগামীতে যুগপৎ অবস্থান কর্মসূচি হবে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জবরদস্তি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে সমগ্র দেশ ও জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ভোটের অধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আরেক নতুন প্রতারণা শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) লিবারেশনের পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি ইউএমএলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ঈশ্বর পোখরেল প্রমুখ।