ফেসবুকে মন্তব্য করায় পদ হারালেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করে পদ খোয়ালেন জেলা যুব মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক শারমিন আক্তার। বুধবার তাকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতির একটি নোটিশ দিয়েছে জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগ।  

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমাকে দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ও তাকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সুপারিশের জন্য একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশটি ফেসবুকে পোস্ট করা হলে সেখানে কমেন্ট করেন শারমিন আক্তার। তিনি লেখেন, ‌‌জেলা আওয়ামী লীগ কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দেয়ার এখতিয়ার রাখে না।

এ মন্তব্যের কারণে দলের ভাবমূর্তির ক্ষুণ্নের অভিযোগে বুধবার তাঁকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কেন বহিস্কারের চূড়ান্ত সুপারিশ কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হবে না তা জানতে চেয়ে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তার রুমি স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমাকে অব্যাহতি দিতে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর শারমিন আক্তার যুব মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক থাকা অবস্থায় 'জেলা আওয়ামী লীগ কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না' বলে মন্তব্য করেন। যেটি সম্পূর্ণরূপে শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তার এই কর্মকাণ্ডে যুব মহিলা লীগের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হওয়ায় জামালপুর মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়।'

এ বিষয়ে জানতে শারমিন আক্তারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।