ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার বেলাল সরকারকে প্যাথলজি রুমে গিয়ে সংঘবদ্ধভাবে মারধর এবং লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুল মুহিত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে লিখিত দিতে বলেন।

বেলাল সরকার বলেন, মানিকসহ কয়েকজন দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। এই সময় তাদেরকে তিনি চলে যেতে বলেন। এরপর তারা চিফ মেডিকেল অফিসারের কাছে বিচার দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সংঘবদ্ধভাবে ৪০-৫০ জন এসে তাকে মারধর করে। ইউসুফ হারুন নামে একজন তাকে প্রথমে কলার চেপে ধরেন। তাকে ঘুসি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেয়। এরপর সবাই মিলে মারধর করে, হেনস্তা করে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আব্দুস সোবহান মানিক বলেন, আমি গুরুতর অসুস্থ। তাই ছুটির কাগজপত্রের জন্য মেডিকেলে যাই। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা গল্প করছিলাম। এরপর একটু কথা কাটাকাটি হলে বেলাল আমাকে ধাক্কা দেয়। আমরা তাকে আর কিছু করিনি। সে নিজেই নিজের শার্ট ছিঁড়ে আমাকে দোষী বানাচ্ছে।

চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাফেজা জামান বলেন, মানিকের লোকেরা আমার রুমে এসে বেলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় প্রথমে। আমি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাই। তারা হাসিমুখে রুম থেকে যায়। কিছুক্ষণ পর দলবল নিয়ে আমার রুমে এসে তাৎক্ষণিক বিচার দাবি করে। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। প্যাথলজি রুমে গিয়ে মেয়েদের বের করে বেলাল সরকারকে হেনস্তা করে। পরে প্রশাসনিক লোক এসে থামায়।

কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, সবাই তো আর একরকম হয় না। আমাদের সহকর্মীকে মারধর করেছে এ খবরে সবাই সেখানে যায়। আমরা পরে শান্ত করে নিয়ে আসি সবাইকে। কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নেয়, নেবে।


ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি বলেন, আমরা চিফ মেডিকেল অফিসারের রুমে যাই ঘটনায় ব্যবস্থায় নেওয়ার দাবি জানাতে। বেলাল সরকার মাফও চেয়েছে। এরমধ্যে বাইরে অন্যরা কী করেছে জানি না।

এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টর ড. মো. আব্দুল মুহিত সমকালকে বলেন, খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছি এবং প্রক্টর স্যারের নির্দেশ মোতাবেক তাদের দুইপক্ষকে লিখিত দিতে বলেছি।