ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল এলাকা থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী তারেক রেজাকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সাড়ে দশটার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে  গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, তাকে কিছুক্ষণ আগে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে স্ট্যাম্প দিয়ে মারা হয়েছে, গোপনাঙ্গে আঘাত করা হয়েছে। আমরা এখন তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, টিএসসিতে কাওয়ালী উৎসবে হামলার প্রতিবাদে আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করি। এরপর বিক্ষোভ শেষে কার্জন হলের দিকে যাওয়ার সময় তাকে তাকে তুলে নিয়ে যায় তারা। এরপর তাকে আটকে রেখে আমাদের গিয়ে তাকে নিয়ে আসতে বলা হয়। পরে আমরা প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকে জানাই।

তবে হল শাখা ছাত্রলীগের একাধিক কর্মীর দাবি, ছাত্র অধিকারের সেই কর্মী হলের বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও করতে দেখলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বড় ভাইদের অবহিত করে তখন ভাইদের নির্দেশে আটকে রাখা হয়।

আটকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্বীকার করে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনীম সমকালকে বলেন, ‘আমরা অবগত ছিলাম না। শুনে আমরা যাই, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে মারধরও করা হয়নি।’

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন বলেন, ‘প্রক্টর আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। বিষয়টি জানামাত্র খোঁজ নিয়েছি।’