- রাজনীতি
- নাম-ঠিকানা ছাড়াই মারা গেলেন সেই শতবর্ষী বৃদ্ধা
নাম-ঠিকানা ছাড়াই মারা গেলেন সেই শতবর্ষী বৃদ্ধা

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ঠিকানাহীন সেই শতবর্ষী বৃদ্ধা
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ঠিকানাহীন সেই শতবর্ষী বৃদ্ধা জোৎস্না রানীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবজারভেশন কক্ষে তিনি মারা যান। সন্ধ্যায় বেওয়ারিশ হিসেবে ওই বৃদ্ধাকে উপজেলার আনন্দনগর মহাশ্মশান দাহ করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ওই নারীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে কর্তৃপক্ষ স্বপ্রনোদিত হয়ে ওই নারীকে ভর্তি করে। সেসময় ওই নারীর মাথায় গুরুতর জখম ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরিচর্যায় মাথার আঘাত শুকিয়ে এলেও তিনি চলাফেরা করতে পারতেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সেবিকা সিদ্দীকা জানান, দেড় মাসেও ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে হাতে শাখা থাকায় প্রাথমিকভাবে তাকে সনাতন ধর্মালম্বী বলে ধারণা করা হয়েছে। নিজের নাম জোৎস্না রানী ছাড়া আর কিছু বলতে পারতেন না ওই নারী। কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু খাবার চাইতেন।
তিনি বলেন, ওই নারীর মাথায় পোকা ধরেছিল। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় মাথার ঘা শুকিয়ে এসেছিল। কিন্তু তিনি একা চলাফেরা করতে পারতেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোজাহিদুল ইসলাম জানান, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিতভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা ও খাওয়া-দাওয়া চলছিল। আজ দুপুরে ওই বৃদ্ধা মারা গেলে উপজেলা প্রশাসনকে লাশটি সৎকারের জন্য জানানো হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও দেড় মাসেও বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশটি রোববার সন্ধ্যার পর উপজেলার আনন্দনগর মহাশ্মশানে দাহ করে ওই বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
গুরম্নদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় জানান, হাসপাতালে মারা যাওয়া বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ কারণে বৃদ্ধের লাশটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৎকার করা হয়।
মন্তব্য করুন