জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, “দীর্ঘদিন অপশাসনে বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রের  বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলেছে। রাষ্ট্রের যথার্থ পরিচয়টিও আজ ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। গত ৫০ বছরে উপনিবেশিক নিপীড়নমূলক শাসনের কারণে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্র দাবি করার যোগ্যতাও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ক্ষমতালোভী রাজনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর অভ্যন্তরীণ কোন স্বাভাবিক ‘নৈতিক চরিত্র’ নেই। ফলে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার তছনছ হয়ে পড়েছে। ভুল-ভ্রান্তি এবং সংকীর্ণ স্বার্থ দ্বারা রাজনীতি পরিচালনা করতে গিয়ে দেশ ও রাজনীতি এখন ধ্বংসের সম্মুখীন।”

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এই গভীর সংকট উত্তরণে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে, রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সমাজ শক্তির সমন্বয়ে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জনগণের আকাঙ্খাভিত্তিক এবং অংশীদারিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনে জাতীয় সরকারের চেয়ে উচ্চতম কোনো বিকল্প নেই।”

মঙ্গলবার রাজধানীতে জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেএসডি ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ প্রতিনিধিদের সভায় দেওয়া বক্তব্যে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া রব। বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এ কে এম মিজান উর রশিদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, মোশারফ হোসেন, ইউসুফ সিরাজ খান মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল তারেক, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, আব্দুল মান্নান মুন্সী, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, আব্দুল কাইয়ুম ভূঁইয়া, ফারজানা দিবা, আনিসা রত্না, আবুল কালাম, আবুল হোসেন মিয়া, এহসান উল্লাহ ভূইয়া, মোহাম্মদ মোস্তাক, সুমন খান প্রমুখ।

মিসেস তানিয়া রব বলেন, ‘সমাজ বিকাশের বর্তমান পর্যায়ে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীরাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। তাদের বাদ দিয়ে যেমন উৎপাদন উন্নয়ন অচল, তেমনি তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া সফল আন্দোলনও সম্ভব নয়। তাই আজকের বাস্তবতায় শ্রম, কর্ম, জ্ঞান ও মেধার অধিকারী জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব দিতে হবে।’