ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু  বলেছেন, 'সরকার পতনের জন্য আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। আর এটি তাদের সহ্য হচ্ছে না। আমরা কোনো জ্বালাও-পোড়াও করি না, হরতাল করি না। সেজন্য তারা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়, আর মামলা হয় আমাদের নামে।'

আজ বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিন্ডি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় দলটির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যসহ জেলা-উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ঠাকুরগাঁও হয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে গিয়ে দুপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ও সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, 'যে সকল মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে আমরা সরেজমিনে সেখানে গিয়েছিলাম। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের জমি দখল করে চা বাগানসহ নানা কিছু তৈরি করা হচ্ছে।'

সরকারের 'ব্যর্থতার কথা' তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এ সরকার চারপাশে আজ ব্যর্থ। সবকিছুর দাম আজ বেড়ে গেছে। আর তারা ব্যাংক খালি করে সবকিছু লুট করে কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি-গাড়ি করছে। সেদিকে যাতে নজর না পড়ে সেজন্য তারা প্রতিমা ভাঙচুর করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে চায়। আমরা বিচার বিভাগীয় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি।'

উল্লেখ্য, গত রোববার ভোররাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া, চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়নের ১২টি মন্দিরে ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেলে সিন্দুরপিন্ডি হরিবাসর পরিচালনা কমিটির সভাপতি যতীন্দ্র নাথ সিংহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।