বরাবরই আলোচনার বাইরে থাকায় আড়ালে রয়ে যান ইমরুল কায়েস। চাপা পড়ে থাকে অধিনায়ক হিসেবে তার ভূমিকা। এই ইমরুলের নেতৃত্বেই গত রাতে রেকর্ড চতুর্থবারের মত শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলের তিনটি শিরোপা ইমরুল কায়েসের। মাশরাফি ছাড়া এর চেয়ে বেশি বিপিএল ট্রফি জিততে পারেনি কেউ। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক জিতেছেন চারটি শিরোপা।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আগের কিছু অভিমান প্রকাশ করে ইমরুল জানালেন, 'আমি যখন প্রথম অধিনায়কত্ব করি কুমিল্লাতে, স্টিভেন স্মিথ অধিনায়ক ছিল, সে চলে গেল। তারপর আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে যে আমি 'অ্যাক্টিং ক্যাপ্টেন'। তবে সবকিছু তো আসলে বাইরে থেকে প্রকাশ করা যায় না। মাঠেই করে দেখাতে হয়।'

২০১৯ বিপিএলে হুট করেই কুমিল্লার দায়িত্ব পেয়েছিলেন ইমরুল। সেবার তামিমকে অধিনায়ক ভেবেই দল গড়েছিল কুমিল্লা। তামিম শেষ পর্যন্ত রাজি না হওয়ায় অধিনায়ক করা হয় অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথকে। দুই ম্যাচ খেলে চোট নিয়ে দেশে ফিরলে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইমরুল কায়েসকে। সেবারই দলকে শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর গতবছর ও এবারও জিতলেন টানা শিরোপা।

সফল হওয়ার কারণ জানিয়ে ইমরুল বলেন, 'আমি স্যারের (কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন) সঙ্গে যেভাবে আলোচনা করি, আমাদের খেলাটা নিয়ে, কুমিল্লার ভালোর জন্য। সত্যি বলতে, ঘরোয়া ক্রিকেটে যখনই খেলি না কেন, অনেক পরিকল্পনা করে, চিন্তা-ভাবনা করে ক্রিকেট খেলি। এটার জন্য হয়তো সফল হই।'

অধিনায়কত্ব থাকাকালীন সময়ে ইমরুলের পারফরম্যান্স যদিও অতটা আহামরি ছিল না। ২০১৯ বিপিএলে ১৩ ইনিংসে ১৮৩ রান করেছিলেন ১৬.৬৩ গড়ে। সর্বোচ্চ ছিল ৩৯। গত বিপিএলে ১১ ইনিংসে ১৯৬ রান করেন ১৯.৬০ গড়ে। এবার ১৩ ইনিংসে ২১৮ রান ১৬.৭৬ গড়ে, সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৫ রানের। এই ৩৭ ইনিংসে ফিফটি স্রেফ ১টি! 

পারফরম্যান্স আহামরি না হলেও অধিনায়কের কাজটা ঠিকই চালিয়ে গেছেন ইমরুল কায়েস। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থতার পরও দল তার ওপর আস্থা রেখেছে ম্যাচের পর ম্যাচ, মৌসুমের পর মৌসুম। ইমরুল জানান, 'কুমিল্লা একটি ব্র্যান্ড। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি আসে, ভালো করে বা খারাপ করে, এরপর তারা ছেড়ে দেয়। আশা ছেড়ে দেয়। কিন্তু এরা (কুমিল্লা) এক বছর ধরে যেভাবে পরিকল্পনা করে যে পরবর্তী ভিশন কী হবে, স্যার (কোচ) যেটা বললেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়ি এবং আমাদের লক্ষ্য এরকম থাকে যে আমরা রানার্সআপ হওয়ার জন্য দল গড়ি না।'