খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে কৃষিতে বিশ্বে মডেল হয়েও উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএসটি (বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট) আয়োজিত নাগরিক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংলাপের বিষয় ছিলো ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশর কৃষি : অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা'।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, কারণ তাদের কারণেই বাংলাদেশ আজকে সফলতা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শিতার জন্য বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আমাদের কৃষকরা প্রমাণ করেছে , আমরা যা শিখি তা প্রয়োগ করতে পারি। আমাদের দেশের কোল্ড স্টোরেজগুলো সারা বছর পূর্ণ থাকে। যা আগে বছরের অর্ধেক সময় খালি পড়ে থাকতো। সরকারি উদ্যোগেই ভুট্টার ব্যবহার আজকে সার্বজনীন হয়েছে। দেশ কোন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলে আমরা বেশি উপকৃত হবো,সেই সব জায়গা দেখে দেখে কৃষিতে কাজ করেছে সরকার। এজন্য সারাদেশে একই সাথে কৃষি কর্মযজ্ঞ চলছে।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে পরিবর্তন হচ্ছে। আর সেই পরিবর্তনের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা ছিলাম অন্নদাশ। তাই বিদেশিরা আমাদের নানাভাবে অপমানিত করেছে। কিন্তু সেই অপমানের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা কৃষিখাতে মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছি। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও ব্যাপক সুনাম করেছে। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।' তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বিশ্বাস করতেন আমাদের দেশের বড় সম্পদ কৃষি। বিদেশে কাজ করে ২৪ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাচ্ছে। আগামী বছরে ৬৭ বিলিয়ন পার হয়ে যাবো।  প্রধানমন্ত্রী কৃষির উন্নয়নের জন্য ব্যাপক ভর্তুকি দিয়েছেন। আমাদের কৃষিতে ২৭ গুণ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে দেশের ১ কোটি পরিবার স্বল্পমূল্যে খাদ্য পাবে। নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি ও ফসলের দিকে নজর দিতে হবে। তাহলে আগামী ২০২৬ সালে আমরা এলডিসির লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। তিনি বিভিন্ন গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন,বাংলাদেশের বর্তমান মথাপিছু আয় ২৪৪৪ ডলারের বেশি, হিউম্যান এসেট ইনডেক্সে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৩। মাতৃমৃত্যু হার কমানোয় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এখন মডেল বাংলাদেশ। শিক্ষা ও নারী শিক্ষায় শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে, এক্সপার্ট পজিশনে দেশ ধারাবাহিক উন্নতির পথে।  কৃষির ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। যা ৪৮ বর্তমানে বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ড. মাহবুবুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন বিএসটির সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সভাপতি ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।