- রাজনীতি
- আ'লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন দেখছে: মির্জা ফখরুল
আ'লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন দেখছে: মির্জা ফখরুল

আজ সোমবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এক এগারোর প্রেক্ষাপটে একটি সাংবিধানিক সরকারকে উৎখাত করা হয়েছিল, ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সেটা গর্বের সঙ্গে স্বীকার করেছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মানুষ খেতে পারে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সবাই আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে। দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। এই সরকারকে সরাতে না পারলে সংকট সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের স্বার্থে সংবিধান কেটেছেটে শেষ করে ফেলেছে। একে সংশোধন করতে হবে। মানুষ রাস্তায় নেমেছে, নিশ্চয়ই অতিদ্রুত এই সরকারকে সরানো হবে।
তিনি আরও বলেন, মামলা দিয়ে বিএনপিকে ঠেকাতে পারবে না। মানুষের যে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে, তা সরকারকে সুনামির মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এবার কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই মিডিয়া বন্ধ করেছে। এরপর বিএনপির একমাত্র মুখপত্র দিনকাল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা ১২৯টি অনলাইন বন্ধ করেছে। এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো আবার তারাই কিনে নিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মনে রাখতে হবে, তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা মানে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বন্দি করা। আজকে তারেক রহমানকে খলনায়ক বানাতে তার বিরুদ্ধে অপচার চালানো হচ্ছে। তার নেতৃত্ব নাই বলে অপপ্রচার চালিয়ে জনগণের কাছ থেকে তাকে থেকে দূরে রাখতে চায়। আপনাদের (সরকার) আহ্বান জানাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবেন না। তিনি মানুষের কথা বলেন, মানুষের জন্য কাজ করছেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্ত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, রাকিবুল ইসলাম বকুল, কাদের গনি চৌধুরী, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন