জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতির নিয়ন্ত্রক। আবার মাদকের ব্যবসাই সবচেয়ে লাভজনক। তাই ব্যবসায়ী রাজনীতিক ও প্রভাবশালীরা মাদক বিস্তারে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। মাদক নির্মূলে যুদ্ধ ঘোষণা করে বহু মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এখন চায়ের দোকান, মুদিখানায়ও মাদক পাওয়া যায়।

বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বড় দুই দল সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা ব্যক্ত করে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে অবস্থানে আছে; সেখান থেকে তাদের আর পিছু হটার সুযোগ নেই। যে দল সরবে, তারাই যেন বিলীন হবে। যে দল পরাজিত হবে, তারই যেন মৃত্যু হবে। এই বাস্তবতায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। 

আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে একটি আসনেও ইভিএমে ভোট চায় না জাপা। জি এম কাদের বলেন, ইভিএম চাই না। এতে কারচুপির সুযোগ আছে। যাঁরা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা দলীয়করণের মধ্যেই আছেন। তাঁদের হাতে ইভিএমের ফল পরিবর্তন করা সম্ভব। আমরা মনে করি, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের ফল পাল্টে ফেলা যায়। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সেলিম নিজামী।