খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আনসার উদ্দিন হত্যার ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মামলাও হয়নি। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে গ্রামের বাড়ি দীঘলিয়ার লাখোহাটিতে আনসার উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী জাকির হোসেন হত্যাসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, পূর্ববিরোধের কারণে আনসার উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।

খানজাহান আলী থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকে শুক্রবার থেকে অভিযান চলছে। কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। আনসার উদ্দিনের স্বজনরা (শনিবার) রাতে মামলা করতে পারেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনাস্থল ও আশপাশের কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের আটক করা হবে।