রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে মডেল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইমাম হাসানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে তাঁর ছোট ভাই ইমাম হোসেনসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এ মামলা করেন ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. এহসান উদ্দিন। তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হাসান।

এহসান উদ্দিনের ভাষ্য, তাঁর ড্রেজার দিয়ে আতাশুর কালিন্দী মডেল টাউন প্রজেক্টে বালু ভরাটের কাজ চলছে। গত ১৯ মার্চ তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার মো. পিন্টু ও মাসুম মিয়ার সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে পাইপ সরিয়ে নিতে বলেন ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হাসান ও তাঁর ভাই ইমাম হোসেন। এহসান উদ্দিন বালু ভরাট বিষয়ে মডেল টাউন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির কথা জানান তাঁদের।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হাসান বলেন, সেখানে কাজ করতে হলে তাঁকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। না হলে পাইপ বন্ধ করে দেবেন। পরে দুর্বৃত্তরা মুসলিমাবাদ মাঠের দক্ষিণ পাশে এনায়েত হাজীর প্রজেক্টের পাশ দিয়ে যাওয়া ড্রেজারের পাইপলাইন কেটে ফেলে।

তবে ইমাম হাসান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চাঁদা দাবির অভিযোগ বিষয়টি মিথ্যা। মামলার বাদীকে আমি চিনি না।’

তিনি দাবি করেন, তিনি শুনেছেন এহসান উদ্দিন কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তাই আলোচনায় আসতে এ বক্তব্য ও মামলা দিয়েছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান বলেন, ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে মামলা হয়েছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।