- রাজনীতি
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হলেই প্রতিরোধ: ১৪ দল
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হলেই প্রতিরোধ: ১৪ দল

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল নেতারা বলেছেন, ১৪ দল একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বিএনপি ওই নির্বাচনে আসুক না আসুক, সেটি তাদের বিষয়। তবে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেও লাভ হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ১৪ দলের আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও দেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা জাতীয় শত্রু। এদের আইনানুযায়ী গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচলভাবে সংবিধানের জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে ১৪ দল এগিয়ে যাবে।
ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ‘বিএনপিপন্থী সরকার’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সেই বিএনপিপন্থী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হওয়ায় বিএনপি বুঝে গেছে, তারা জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত। এরপর থেকেই তাদের নির্বাচনে আসতে এত ভয়। মানুষ হত্যা ও ধ্বংসকারী দল বিএনপির নির্বাচনে ভয় পাওয়ায় কারণই হলো তাদের জনসমর্থন নেই।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা একটি অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ ও নির্বাচন চাই। বিএনপি নির্বাচনে যাক, না যাক সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে লাভ নেই।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের কুর্তা গায়ে দেওয়া আধুনিক রাজাকার প্রতিষ্ঠাকারী দল। তারা দেশের জন্য একটি অশনিসংকেত ও বিপদ। সবাইকে নিয়ে নির্বাচনের স্বপ্ন নয়, স্বাধীনতাবিরোধী দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, স্বাধীনতার মূল্যবোধকে রক্ষা করার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে শক্তিশালী রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিকদার, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুুমায়ুন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন