- রাজনীতি
- ‘শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে বাঙালির স্বপ্নভঙ্গ হতো’
‘শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে বাঙালির স্বপ্নভঙ্গ হতো’
‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘তিনি যদি ফিরে না আসতেন’ শীর্ষক আলোচনা সভা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বিদেশে নির্বাসিত জীবন ছেড়ে ফিরে না আসলে দেশের সকল উন্নয়ন অধরা থেকে যেত। তিনি না আসলে বাঙালির স্বপ্নভঙ্গ হতো। যে আশা নিয়ে ৯ মাস যুদ্ধ করে জাতি দেশ স্বাধীন করেছে তার আকাঙ্খা পূরণ হতো না। দেশবাসী নেতৃত্ব শূন্য থাকত। স্বাধীনতার স্বাদ পেত না দেশের মানুষ। তিনি ফিরে না আসলে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্ন পূরণ হতো না। বাংলাদেশ মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণ হতো। তাইতো ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে পেয়ে তাঁকে আঁকড়ে ধরে দেশের মানুষও নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সেদিন।
শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এ সভা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ‘তিনি যদি ফিরে না আসতেন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে বাংলাদেশের পরিণতি হতো পাকিস্তানের মতো। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি নন, তিনি জাতির পিতার আদর্শেরও সার্থক প্রতিভূ। তাঁকে বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিবারই তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন।
ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তাঁর হাত ধরেই দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তিনি দেশে ফিরে না আসলে সবই অধরা থেকে যেত। তাঁর আন্দোলন-সংগ্রামের কারণেই দেশে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলীয়ান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বিশ্বনেতাদের মিছিলে তিনি আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন অনন্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে শ্রাবণের বর্ষণমুখর দিনে স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলার মাটি স্পর্শ করেই তিনি বাংলার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার এবং মর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত করার ব্রত নেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নিজের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ দেশের মানুষের জন্য।
বক্তারা বলেন, সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনা সফল হয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি একাধারে রাজনৈতিকভাবে সফল হয়েছেন, সরকারপ্রধান হিসেবে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি রাষ্টনায়ক হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিশ্বব্যাপী।
সংগঠনের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সরদার মাহামুদ হাসান রুবেলের পরিচালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা এম. মনসুর আলী, মো. হারুন উর রশিদ, বিনয় ভূষণ তালুকদার, সালাউদ্দিন আল আজাদ, কে এম সিদ্দিকুজ্জামান, মাহাতাব আলী রাশেদী, এস. এম. ওয়াহিদুজ্জামান (মিন্টু), নির্মল বিশ্বাস, এ কে এম ওবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, নীতিশ সরকার, শাহনাজ পারভীন এলিস, শেখ ইমরান হোসেন, মো. ওহিদুর রহমান, রওশন আলী।
এছাড়া বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. শেখ শহীদ উল্লাহ, নড়াইল জেলা কমিটির আহ্বায়ক তপন কুমার সরকার ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের পূবালী ব্যাংক শাখা সভাপতি মোহাম্মদ মাহাতাব শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন