‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’– এটা মনে করেন নিবন্ধন হারানো রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল মহানগর শাখার আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুম। তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাসুম। শুধু তিনি নন, জামায়াতের আরও ৩ নেতা আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।

অন্য তিনজন হলেন– ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনির হোসেন তালুকদার এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মীর মাহবুব হোসেন। মহানগর জামায়াত নিশ্চিত করেছে, মাহবুব বিমানবন্দর থানা কমিটির সদস্য। দলীয় পদে নেই সক্রিয় কর্মী মনির তালুকদার। 

জামায়াত বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না এ সিদ্ধান্ত নিলেও কেন প্রার্থী হলেন– এই প্রশ্নের জবাবে ৪ প্রার্থীই বলেছেন, কাউন্সিলর নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় না।

চারজনের মধ্যে প্রথমবার প্রার্থী হয়েছেন মাহবুব। তিনি সমকালকে বলেন, মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন সমাজ পরিবর্তনের একমাত্র হাতিয়ার নির্বাচন। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

২০১৮ সালের মতো এবারও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন জামায়াত নেতা স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, দলের প্রান্তিক নেতাকর্মীকে রাজনীতিতে সক্রিয় রাখার কৌশল হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা।

সালাউদ্দিন মাসুম ২০১৩ সালে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হলেও পরাজিত হন ২০১৮ সালের নির্বাচনে। তিনি জানালেন, স্থানীয় ভোটারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

মনির হোসেন বলেন, এর আগের ৩টি নির্বাচনে তাঁকে ভোটাররা জয়ী করেছেন, তবে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছে হেরেছেন। এবারও ভোটারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। 

দলের ৪ জনের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর সমকালকে বলেন, জামায়াত একটি সিটিতেও মেয়র পদে প্রার্থী দেয়নি। কাউন্সিলর প্রার্থী হতে দলের বিধিনিষেধ নেই, আবার দল থেকে কাউকে উৎসাহিতও করা হয় না।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম সমকালকে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদটি নির্দলীয়। প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় গোষ্ঠীগত নানা সমীকরণ থাকে। দলের কেউ প্রার্থী হলে দল তাঁর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো অবস্থানেই যাবে না।