- রাজনীতি
- অবিলম্বে সরকার পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচি আসবে: ১২ দলীয় জোট
অবিলম্বে সরকার পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচি আসবে: ১২ দলীয় জোট

অবিলম্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। শনিবার দুপুরে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ। তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে সামনে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমাদের দাবি একটাই- অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কমাতে হবে। এখন মানুষের জীবন সস্তা। দ্রব্যমূল্য বেশি।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতা বা শত্রুতা তৈরি করবেন না। আপনারা এ দেশের মালিক নন। কারণ আপনারা ভোটারবিহীন সরকার। দেশের ১৮ কোটি মানুষ দেশের মালিক। নিজেরা নিরাপদ থাকার জন্য ক্ষমতা ত্যাগ করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরা আন্দোলনে ছিলাম, আছি ও থাকব।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, এই সরকারের সময় শেষ। আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিন।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমরা বর্তমান অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে আছি। সামনে আরও কঠোর আন্দোলন আসবে। সরকার ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে গণভবন, বঙ্গভবন ও সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি আসতে পারে।
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, খান আসাদুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির মহাসচিব মানসুর আলম শিকদার, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এমএ বাসার, চাষী এনামুল হক, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেলসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সংলগ্ন সড়ক হতে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, হোটেল প্রীতম ভবন ও নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবারও বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন