- রাজনীতি
- ‘ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দেবেন শেখ হাসিনা’
‘ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দেবেন শেখ হাসিনা’

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওলামা লীগকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের সহযোগী সংগঠন করা হবে নাকি সমমনা সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ওলামা লীগের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, তারা সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। সময় লেগেছে, তবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ তা সম্ভব হলো।
সংগঠনের কমিটি বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু এটা প্রথম সম্মেলন, সেহেতু কত সদস্যের কমিটি হবে এবং কীভাবে কমিটি পরিচালিত হবে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। কমিটিতে আওয়ামী লগের রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকবে, গঠনতন্ত্র থাকতে হবে। একটি সুন্দর কমিটি কীভাবে ওলামা লীগকে উপহার দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পরে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা নিয়ে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে বসে তা বাস্তবায়ন করব।
তিনি বলেন, সংগঠনটি ১০১ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা কমিটিতে থাকতে পারেন। তবে নেতাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। এখন থেকে ওলামা লীগকে বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সৈনিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ঢাকা মহানগরে দুটিসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওলামা লীগের অতীত ভূমিকার প্রশংসা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের আক্রমণের মুখেও রাজপথ ছাড়েনি এবং নেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ তারা অমান্য করেনি। মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা দেখা গিয়েছিল।
ওলামা লীগ নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, বদনাম কামাবেন না। ওলামা লীগের নামে চাঁদাবাজি করবেন না। বদনাম যেন না হয়। প্রোগ্রাম করবেন, পয়সা না থাকলে আমাকে বলবেন। নেত্রীকে আমি বলব। সংগঠন পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় খরচ নেত্রীই বহন করবেন। কিন্তু চাঁদাবাজি করে দুর্নাম কামাবেন না। এটা অতীতে অনেকেই করেছেন। ওলামা লীগের নেতারাও খুব ভালো করেই জানেন। এসব করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে ও তাঁর অনুমতি নিয়ে এ সম্মেলন করা হয়েছে। ওলামা লীগ নেতারা ভাগ্যবান। এতদিন ওলামা লীগ বিভিন্ন ধারায় ও বিতর্কের মধ্যে দিয়ে চলেছে। আওয়ামী লীগ এক কথা বলেছে, আর ওলামা লীগ অন্য কথা বলেছে।
তিনি আরও বলেন, বিরোধপূর্ণ কথাবার্তা বলা যাবে না। সরকার যে কথা বলবে, তার সঙ্গে মিলিয়ে ওলামা লীগকেও কথা বলতে হবে। বিরোধিতা করা যাবে না।
মন্তব্য করুন