ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে  সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের মোট ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।  সংঘর্ষের পর ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছে- তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন হামলা করেছে। ওই সময় গুলি ও ককটেলে অন্তত ৫ জন আহত হয়। অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বলেন, আমার নেতাকর্মীরা বাচনিক কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিল থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও নাইট শুটারগান দিয়ে আমাকে মারার জন্য হামলা করে। এসয় অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ধরনের হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বাসার সামনে আগুন দেয়া হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীদেরও খোঁজ নিতে পারছিনা।  

তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ফজলুল হক দাবি করেন, তারাকান্দা উত্তর বাজার থেকে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে সেই মিছিলে অতর্কিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে হামলা করে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন। এসময় তার অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ফলাফল যা হবে তাই মেনে নেব এভাবেই নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য হামলার অভিযোগ করা হচ্ছে।  

তারাকান্দা থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে এমন তথ্য আছে আমাদের কাছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে সত্য কিন্তু গুলির বিষয়টি যাচাই করতে হবে। নামাজের সময় হামলা করায় কে কাদের উপর হামলা করেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে পরস্পর পরস্পরের উপর অভিযোগ করছে। ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করলে পরিস্থিতি শান্ত করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।