- রাজনীতি
- বজ্রপাতে মৃত্যুর এক মাস পর ‘হত্যার’ অভিযোগ
বজ্রপাতে মৃত্যুর এক মাস পর ‘হত্যার’ অভিযোগ

ভুক্তভোগী কৃষক খলিলের ছেলে ফিরোজ মৃধা গত মঙ্গলবার বাবাকে হত্যার অভিযোগ এনে বরগুনার পুলিশ সুপারের কাছে সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য পাথরঘাটা থানার ওসিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জমির বিরোধে এখন এ অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিযুক্তদের।
খলিল মৃধার ভাই প্রত্যাক্ষদর্শী আ. রহিম জানান, ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে খলিলসহ তাঁর ছেলে ও তিনি বাড়ির কাছে খোলা মাঠে ক্ষেতে পাকা মুগডাল তুলছিলেন। এ সময় আকাশে মেঘ জমে বজ্রপাত শুরু হয়। তিনি ডালের বস্তা নিয়ে বাড়ির দিকে দৌড়ে যাওয়ার সময় বজ্রপাতের শিকার হন খলিল। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
সঙ্গে থাকা ছেলে ফিরোজ মৃধা কিছু দূর থেকে দৌড়ে গিয়ে বাবাকে কোলে তুলে চিৎকার করলে গ্রামের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। বজ্রপাতে তাঁর শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায়। ঘটনাটি গ্রামের অনেকে দেখেছেন বলে দাবি আ. রহিমের।
মৃধা বংশের অনেকের সঙ্গে খলিলের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ কারণে তাঁর ছেলেরা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে বলে জানান সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহমান। তাঁর ভাষ্য, খলিল মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের চিৎকার শুনে বিলের অনেক কৃষক দৌড়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বড়ি নিয়ে যান। বিষয়টি অনেক কৃষক দেখেছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আলী হোসেন মৃধা। তিনি বলেন, খলিল তাঁর চাচাতো ভাই। জমি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন মামলা চলছে। আদালত যে রায় দেবে, সবাই তা মানতে বাধ্য। এখন এলাকার কিছু দুষ্ট লোকের বুদ্ধিতে তাঁর ছেলেরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
এ বিষয়ে খলিলের ছেলে ফিরোজ মৃধা বলেন, বাবার হত্যার বিচার চেয়ে তিনি পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলবেন না।
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিষয়য়টি তিনি তদন্ত করেছেন। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ও তাঁর স্বজনরা স্বাক্ষ্য দিয়েছেন, খলিল বজ্রপাতে মারা গেছেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তবে নানাভাবে চেষ্টা করেও এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালামের বক্তব্য জানা যায়নি।
আইনজীবী টিটপ কুমার রায় বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি এলাকার অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে ও স্বজনরা বক্তব্যও দিয়েছেন। সে কারণে এ মামলার ফল পাবে না।
মন্তব্য করুন