খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে বা ভোট দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এজন্য নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে গোপন মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। 

শুক্রবার রাতে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নেতাকর্মীদের নজরদারিতে রাখতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ২১ সদস্যের গোপন মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ভোটের দিন দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ভোট দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনিটরিং সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভোট দেওয়ার প্রমাণ পেলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় ৫ বছর কারাভোগ করছেন। সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বহু নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। এ অবস্থায় এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা মহানগর বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন বর্জন করা সত্ত্বেও দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে বিএনপির সঙ্গে খুলনাবাসীকেও ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন।