- রাজনীতি
- রাজনীতিতে নতুন চাঞ্চল্য
রাজনীতিতে নতুন চাঞ্চল্য

দীর্ঘ ১০ বছর পর জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় নতুন চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনীতিতে। নানা প্রশ্ন সবার মনে– তাহলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত কি আবার প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফিরছে? সরকার কি তার কৌশলে পরিবর্তন এনেছে? নাকি মার্কিন নতুন ভিসা নীতির সুফল পেতে শুরু করেছে জামায়াতও? এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বলছে, এটি ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে বেইমানি।
অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচন সামনে রেখে আবারও আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিতে বিএনপিই জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে। অন্যদিকে, জামায়াতের বিষয়ে কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, সব রাজনৈতিক দলেরই সভা-সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে।
সূত্রমতে, জামায়াত আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পরিকল্পনা করেছে। মহানগর ও জেলা পর্যায়েও কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইবে দলটি। দলটির নেতারা বলছেন, সমাবেশের অনুমতি দিলে ভালো। না দিলেও ক্ষতি নেই। অনুমতি না দিলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে, বিরোধী দলের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, মার্কিন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর সৃষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণেই জামায়াতকে প্রকাশ্যে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কারণ এ নীতিতে বলা আছে, শান্তিপূর্ণভাবে সভা, সমাবেশ ও মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া যাবে না। এই অবস্থায় জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হলে মার্কিন ভিসা নীতির বরখেলাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এ বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করতে নারাজ আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারকরা। তাঁরা দাবি করছেন, জামায়াতকে তাদের সাবেক মিত্র বিএনপিই মাঠে নামিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন সামনে রেখে আবারও আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিতে বিএনপিই জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক শান্তি সমাবেশে বলেছেন, জামায়াত মাঠে নামেনি, তাদের নামানো হয়েছে। তাদের মাঠে নামিয়েছে তাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল নয়। এর পরও তাদের মাঠে নামানোর অর্থ হচ্ছে, বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি।
অবশ্য সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ ভোট ছাড়াই আগামী নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির ছক কষছে। তাঁর ভাষ্য, ভোটের গুঞ্জন রয়েছে, সরকার জামায়াতকে বিভিন্ন দলের নামে কিছু আসন দেবে। জাপাকেও কিছু আসন বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে আসন ভাগাভাগির গুঞ্জনকে সরাসরি নাকচ করেছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, জামায়াতের ওপর গত ১৪ বছরে যে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, তার পর সমঝোতার কোনো প্রশ্নই আসে না।
গত ২৪ মে বাংলাদেশের ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তারা মার্কিন ভিসা পাবে না। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারে বাধা দিলে ভিসা নীতি প্রযোজ্য হবে। জামায়াত মনে করছে, গত ডিসেম্বর চারবার আবেদন করে ব্যর্থ হলেও মার্কিন নীতির কারণেই এবার পুলিশ সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। ডা. তাহের সমকালকে বলেছেন, সমাবেশ করতে না দিলে তা ভিসা নীতির বরখেলাপ হবে। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে জামায়াত। ২০১৩ সালে আদালতের রায়ে দলটির নিবন্ধনও বাতিল হয়। ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারির পর কর্মসূচি পালনে প্রশাসনের অনুমতি পায়নি দলটি। সারাদেশে জামায়াতের কার্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। জামায়াতের দাবি, গত এক যুগে তাদের ৯৩ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে ফের অনুমতি চাইতে শুরু করে দলটি। সর্বশেষ গতকাল বাইরে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও সর্বশেষ একটি মিলনায়তনে সমাবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
কৌশলী অবস্থানে বিএনপি
জামায়াতের সঙ্গে কৌশলী অবস্থান নিয়ে চলছে রাজপথে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দেশি-বিদেশিদের চাপের মুখে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সঙ্গে ২০ দলীয় জোটও ভেঙে দিয়েছে দলটি। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সমমনা দল ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে তারা। তবে প্রকাশ্যে না হলেও ভেতরে ভেতরে বিএনপির শীর্ষপর্যায়ে নেতৃত্বের সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগ রয়েছে বলে শোনা যায়। সরাসরি জোট বা সমমনা দলের মধ্যে না রেখে দূর থেকেই ‘সম্পর্ক’ বজায় রাখার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। তবে নানা কারণে বেশ কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ রাখে দলটি।
সূত্রমতে, আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের তৎপরতা শুরুর পর বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নতুন করে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। বিএনপির তরফ থেকেই এই যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জামায়াতের একজন দায়িত্বশীল নেতা দাবি করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা সমকালকে বলেছেন, যোগাযোগ হলেও আলোচনা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। জোট পুনর্গঠন বা একসঙ্গে আন্দোলন ও নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চাপে থাকা সরকারের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে কীভাবে আন্দোলন করা যায়, তা নিয়ে কথা হচ্ছে। জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতেই অনড় রয়েছে। সূত্রমতে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতের ‘শক্তি’কে কৌশলে রাজপথে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি।
এক সময়ের সাবেক ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গতকাল সমকালকে বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। সমাবেশ করতে কেন অনুমতি লাগবে? জামায়াতকে এত বছর অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি অগণতান্ত্রিক। জামায়াতও কেন এতদিন সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি চায়নি সেটা তারা বলতে পারবেন। তাহলে কি মার্কিন নতুন ভিসা নীতির কারণে অনুমতি পেল– এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি। বিএনপির সঙ্গে নতুন করে আবার যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি বড় দল। অনেক নেতা আছেন। এ বিষয়ে তাঁর জানা নেই।
ক্ষুব্ধ নির্মূল কমিটি
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সমকালকে বলেন, ‘একাত্তেরর গণহত্যার দায়ে উচ্চ আদালতের রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দলটি দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না। এই দলকে সরকার কেন সমাবেশ করতে অনুমতি দিয়েছে তা বোধগম্য নয়। আমরা ক্ষুব্ধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একাধিক রায়েও জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় দলটির অবিলম্বে বিচার হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৩ থেকে বিভিন্ন আগুন সন্ত্রাসের যে ঘটনাগুলো দেশে ঘটেছিল সেগুলোতে বিএনপি একা করেনি, এর সঙ্গে জামায়াতও জড়িত ছিল। এসব ঘটনার জন্য জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে যুক্তরাদ্ধের কংগ্রেসেও প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সন্ত্রাসী দলকে সরকার কোন বিবেচনায় রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তা কোনোভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না। জামায়াতকে কোনোভাবেই রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না। প্রতিহত করতে হবে। দলটির রাজনীতি করার অর্থ হলো তাদের অপরাধকে বৈধতা দেওয়া। এটি হলে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।’
জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সমকালকে বলেন, তাদের মিটিং করার জন্য আমি অনুমতি দেওয়ার মালিক নই। এর চেয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। অবশ্য গত ৬ মে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, একাত্তরে অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করতে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান। আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারই একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করেছে। এবং যাদের বিচার হয়েছে তারা জামায়াতের হোতা ছিল, প্রতিষ্ঠাতা ছিল।
‘এসিড টেস্ট’ বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সমকালকে বলেন, জামায়াতকে অলিখিতভাবে ইনডোরে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন ধরেই অনুমতি চাচ্ছিল। আমরা এবার সেটা দিয়েছি।
আরও একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াতকে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে এসিড টেস্টের মতো পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মসূচি পালনের অনুমতি না পেলে জামায়াত কূটনৈতিক মহলকে বোঝানোর চেষ্টা করত কোনো ধরনের কর্মসূচি পালনের সুযোগ দিচ্ছে না সরকার। জামায়াতকে সুযোগ নিতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কূটনৈতিক মহল থেকে সব দল ও সংগঠনকে যে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন এক ধরনের চাপ রয়েছে।
আরেকটি সূত্র বলছে, কর্মসূচি পালনের সুযোগ পেলেই জামায়াত তার আড়ালে কী ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণ করেন– তা বোঝার চেষ্টা করছে। কর্মসূচি পালন করতে পারলেও জ্বালাও-পোড়ার মতো ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে জামায়াত পরিপূর্ণভাবে সরে আসবে– এটা অনেকেই বিশ্বাস করছেন না। কেউ কেউ বলছেন, গোপনে গোপনে জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। ঢাকার কর্মসূচির সূত্র ধরে দেশের অন্যান্য এলাকায় জামায়াত একই ধরনের কর্মসূচি পালনের অনুমতি পান কিনা, সেটার ওপরও অনেকের নজর থাকবে। তবে কর্মসূচি পালনের সুযোগ মিলতে পারে বলে এমন আভাস মিলছে।
ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে জামায়াত
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ঠেকাতে জামায়াতের আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার কারণে দেশে সমালোচিত হওয়ার পাশাপাশি এতদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনও পায়নি দলটি। তবে দলটির সূত্রের খবর, সম্প্রতি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন কূটনীতিক জামায়াতের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বাসায় যান। ডা. তাহের সমকালকে বলেছেন, অন্যান্য দলের মতো জামায়াতেরও বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ রয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে জামায়াত এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের বিষয়টি এসেছে।
দলীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে সমাবেশ করার অনুমতি চাইতে গিয়ে গত ২৯ মে ডিএমপির ফটক থেকে আটক হন দলটির চার প্রতিনিধি। যদিও ঘণ্টাতিনেক পর তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। জামায়াত নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের কারণেই পুলিশের এ পরিবর্তন এসেছে।
পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, জনদুর্ভোগ এড়াতে কর্মদিবসে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশের এ নরম মনোভাবে জামায়াত কর্মসূচি পিছিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিয়ে যায়। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল অনুমতি পেতে যাচ্ছে দলটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভোটে অংশ নেওয়া হবে না– জামায়াত এ সিদ্ধান্ত নিলেও চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াত নেতারা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিবন্ধন হারানো জামায়াত বিডিপি নামে একটি দল গঠন করিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল। তবে সেই দলকে নিবন্ধনের প্রাথমিক তালিকা থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে জামায়াত সূত্র সমকালকে নিশ্চিত করেছে, দলের নিবন্ধনে বিষয়টি আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকলেও এতে খুব একটা সমস্যা হবে না। অন্য কোনো দলের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন জামায়াত নেতারা। তবে ২০১৮ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বিএনপির মনোনয়নে আর তাঁরা প্রার্থী হবেন না। সে ক্ষেত্রে ছোট দুটি নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। জামায়াতের একজন নেতা সমকালকে বলেছেন, দল দুটি জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন