- রাজনীতি
- খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারকে নিতে হবে
বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি
খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারকে নিতে হবে

ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি রেখে চিকিৎসায় অবহেলা করা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক নেতারা। একইসঙ্গে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক ও সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনে আপসহীন নেত্রী। সারাদেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। অসুস্থতার কারণে বারবার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবুও তার প্রতি সরকারের হিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও অপপ্রচার বন্ধ হয়নি। আজ বাংলাদেশে আজ মানবাধিকার ও বিবেকের মৃত্যু ঘটেছে।
এতে আরও বলা হয় বলেন, সর্বশেষ গত ৯ আগস্টে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আজ পর্যন্ত চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তিনি দীর্ঘদিন আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছেন। চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত তাকে দ্রুত বিদেশে উন্নততর মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পরমর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত না করে চিকিৎসার মতো মানবিক বিষয়টিতেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
বিএমএ’র সাবেক নেতারা বলেন, আমরা চিকিৎসক সমাজসহ দেশবাসী জানে সুস্থ ও সচল অবস্থায় খালেদা জিয়া করাবন্দি হয়েছেন। পরে চিকিৎসার চরম অবহেলায় তিনি আজ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত। এর পাশাপাশি পুরোনো আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সুচিকিৎসা না হওয়ায় সেগুলোও জটিল আকার ধারণ করেছে। এই সকল বিষয়ের দায়ভার বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারকেই নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার থেকেও বারবার বিদেশে সুচিকিৎসার দাবি তোলা হয়। ইতোমধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, সাবেক আমলাসহ বিশিষ্টজনরা তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কারামুক্তি দিয়ে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি এডভান্সড সেন্টারে প্রেরণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বিষয়ে নিশ্চুপ। আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতারা তথা দেশের সমগ্র চিকিৎসক সমাজ দাবি জানাচ্ছি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কারামুক্তি ও বিদেশে প্রেরণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। অন্যথায় তার শারীরিক যে কোনো ক্ষতির দায়ভার সরকাকে বহন করতে হবে এবং এ অন্যায় কাজ দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতা নেতাদের মধ্যে আছেন- অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, ডা. বায়েছ ভূঁইয়া, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. রফিকুল কবীর লাবু, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ডা. মঈনুল হাসান সাদিক, ডা. আজিজ রহিম, ডা. শামিমুর রহমান, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, ডা. রফিকুল হক বাবলু, ডা. হারুন-আল-রশিদ, ডা. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, ডা. শহিদুল আলম, ডা. মো. আব্দুস সালাস, ডা. শহিদ হাসান, ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া, ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সুমন নাজমুল হোসেন, ডা. মো. ওবায়দুল কবীর খান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এম এ সেলিম, ডা. ওয়াসিম হোসেন, ডা. মওদুদুল আলামগীর পাভেল, ডা. শাহ মোহাম্মদ শাহজাহান আলউ, ডা. সাইদুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. এ কে এম মুসা, ডা. মো. আক্তারুজ্জামান, ডা. আমিরুজ্জামান খান লাভলু, ডা. শাহ্ মো. হাফিজুর রহমান মুজাহিদ, ডা. আসফারুল হাবীব রোজ, ডা. মো. আব্দুল মুত্তালিব, ডা. মোফাখ্খারুল ইসলাম, ডা. খায়রুল ইসলাম, ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, ডা. খালেকুজ্জামান বাদল, ডা. হাসান জাফর রিফাত, ডা. রেহান উদ্দিন খান, ডা. এম এ কামাল, ডা. মো. আবুল কেনান, ডা. সাইফ উদ্দিন নেছার আহমেদ তুষান, ডা. মজিবুল হক দোয়েল, ডা. সায়েফউল্লাহ, ডা. নিখিলেন্দু, ডা. মোস্তফিজুর রহমান শামীম, ডা. আবু হাসান লাল্টু, ডা. মো. ওয়াসিম, ডা. মো. আবুল কালামসহ বিএমএ’র শতাধিক সাবেক নেতা।
মন্তব্য করুন