- রাজনীতি
- আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন আদম তমিজী হক
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন আদম তমিজী হক

আদম তমিজী হক
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি রোববার সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আজ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে আদম তমিজী হকের দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হয়েছে। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে নেতারা একমত হয়েছেন।
এসএম মান্নান কচি আরও জানান, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সোমবার আদম তমিজী হককে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে চিঠি পাঠানো হবে। কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়ামাত্র তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, আদম তামিজী হক ইস্যুতে আজ সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির বাসায় জরুরি বৈঠকে বসেন নেতারা। এ সময় তমিজী হককে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে মত দেন মহানগরের নেতারা।
হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হক ঢাকা মহানর উত্তর আওয়ামী লীগের কমিটি ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, আদম তমিজী হকের ফেসবুক লাইভের বিষয়টি আমাদেরকে যথেষ্ঠ বিব্রত করেছে। তিনি শুধু দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কথা বলেছেন, তাই নয়। তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। সে কারণে আমরা তাকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। তিনি দেশে ফেরার পর কেন্দ্রের অনুমোদন সাপেক্ষে আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার আদম তমিজী হক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং তার চাচা মতিউর রহমান মতিকে গালমন্দ করেন। প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানা দখলের অভিযোগ তুলে আদম তমিজী নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘প্রিয় শুভাকাঙ্খী, অনেকেই আপনারা এতদিন আমাকে ‘চুতিয়া’ ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
শুক্রবার আরও একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তমিজী হক লেখেন, ‘প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজ রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল ও তার চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।’
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলেন। ওই লাইভে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’
মন্তব্য করুন