ভারতকে যারা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে: মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:৫৬
ভারতকে যারা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের যে সকল মিত্র রাষ্ট্র রয়েছে, বিশেষ করে ভারতের চারপাশের যে রাষ্ট্রগুলো তাদের পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে- তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ভারতীয় আগ্রাসনকে রুখে দিতে হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার যে আত্মমর্যাদাপূর্ণ সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে তার সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দল সংহতি প্রকাশ করেছে। দলগুলো সরকারছে সাহস যুগিয়েছে। ভবিষ্যতে যে কোনো রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দল একমত থাকবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মামুনুল হক বলেন, সিম্বলিক একটি ঐক্য প্রকাশ করার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এমন মতামত এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রশ্নে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করবো। এ নিয়ে আমাদের সকলের মধ্যে ঐক্যমত্য হয়েছে।
হেফাজত নেতা বলেন, হাইকমিশনসহ যেখানে যেখানে বাংলাদেশের পতাকার যে অবমাননা হয়েছে, পতাকায় আগুন দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় মিডিয়া ও দায়িত্বশীলদের ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে বক্তব্যগুলো এসেছে- তার তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরকারকে যথাযথ ভূমিকা পালন করার জন্য এবং নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের যে সকল মিত্র রাষ্ট্রগুলো রয়েছে, বিশেষ করে ভারতের চারপাশের যে রাষ্ট্রগুলো ভারতের পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে- তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ভারতীয় আগ্রাসনকে রুখে দিতে হবে মর্মেও আলোচনা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ভারতীয় আগ্রাসনবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মমর্যাদাপূর্ণ সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দল সংহতি প্রকাশ করেছে। দলগুলো সাহস যুগিয়েছে, ভবিষ্যতে যে কোনো রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দল একমত থাকবে।