আমরা মাওলানা ভাসানীর মতো সাহসী হইনি: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘মওলানা ভাসানী আমাদেরকে মুক্তির আন্দোলন শিখিয়েছেন, স্বাধীনতার অর্থ বুঝিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তার মতো আমরা সাহসী হইনি।’

মঙ্গলবার আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা ও উদ্ধারের জন্য আমরা মওলানা ভাসানীর পথ অনুসরণ করে রাস্তায় থাকবো। সকলের প্রতি আহ্বান- সবাই সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করুন। ভাসানীর অমোঘ বাণী-আমরা রাওয়ালপিন্ডির জিঞ্জির ছেড়েছি, ভারতের দালালির জন্য নয়। ভারতীয় চরিত্র আমাদের দেশে বিভিন্নভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এটি বন্ধের জন্য একমাত্র পথপ্রদর্শক মওলানা ভাসানীর আদর্শ।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আমাদের সবার কণ্ঠরোধ করে রেখেছে। গণতন্ত্র কবরে শায়িত। কেবল এটাকে মাটি দেয়ার অপেক্ষায়। যদি আমরা গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাই, তাহলে সবার সম্মিলিত আন্দোলন করা ছাড়া কোনও উপায় নাই। আজ চারিদিকে যে অরাজকতা, বাংলাদেশকে যেভাবে মাফিয়া জগতে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমরা ক্রমেই ভারতের সিকিমের মতো অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবো। আমাদের জনগণের চোখ-কান খুলে অগ্রসর হতে হবে।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘কিছু লোক খাবে কিছু লোক খাবে না, তা হবে না। সবার মুক্তি একমাত্র গণতন্ত্রে, জবাবদিহিতাই গণতন্ত্র। আমাদের উচিত হবে জীবন্ত গণতন্ত্র ফেরানো। আমরা সেই গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা দেখতে চাই। মানুষের কথা বলা অধিকার দেখতে চাই।’

এ সময় ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ হোসেন, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।