জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি
বিভিন্ন দল ও সংগঠনের প্রতিবাদ

ছবি: ফাইল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ০৮:২৮ | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ০৮:২৮
ডিজেল-কেরোসিন ও এলপিজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন।
বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে একইসঙ্গে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার দাবি জানিয়েছেন এসব দল ও সংগঠনের নেতারা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিবৃতিতে বলা হয়, এমনিতেই চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। এর ওপর ডিজেল-কেরোসিন ও এলপিজির দাম বাড়ানোয় 'মরার ওপর খাড়ার ঘা' হিসেবে জনগণের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলবে। এতে কৃষি উৎপাদনে সেচ খরচ, পরিবহনে যাত্রীভাড়া ও পণ্য পরিবহন ব্যয় এবং গৃহস্থালি ও হোটেল-রেস্টুরেন্টে রান্নার ব্যয় বাড়বে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতেই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মোহাম্মদ শাহ আলম, খালেকুজ্জামান, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকী, মোশাররফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, ইকবাল কবির জাহিদ ও হামিদুল হক।
পৃথক বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হামিক বলেন, বাজারি শোষণে জনগণ যখন দিশেহারা, সে সময় ডিজেল-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ওপর আরেক দফা হামলার সমতুল্য। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বিবৃতিতে বলেন, সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির আর্থিক দায় জনগণের কাঁধে চাপাতেই জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দেশবাসীকে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার এবং সারাদেশে দলের নেতাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান পৃথক বিবৃতিতে বলেন, কোনো রকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এবং দেশের বাস্তব অবস্থাকে বিবেচনায় না নিয়ে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে বিস্মিত করেছে। কোনো দায়িত্বশীল ও জনগণের সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ভারপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বিবৃতিতে বলেন, এমনিতেই বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। এ সময় ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে বলেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ও বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় না রেখে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মানুষের প্রতি পরোক্ষ নিপীড়ণ। এই নিপীড়ন মেনে নেওয়া যায় না।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আবু হাসান টিপু প্রমুখ।