চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। সোমবার মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক একেএম মহিউদ্দিন সেলিম। 

আদালতের নির্দেশে পিবিআই মামলাটির তদন্তের ভার পাওয়ার পর মামলাটি তদন্ত করে আসছিলেন আরেক পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) বদলি হয়েছেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা বদলি হওয়ায় নতুনভাবে পরিদর্শক মহিউদ্দিন সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুইটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করবেন।’

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। 

হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার নিজে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। 

এ ঘটনায় গত ১২ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। 

এরপর একইদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। মামলায় আসামি করা হয়- বাবুল আক্তার, তার ‘সোর্স’ কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা, মুছার ভাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে শাক্কু, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম কালুকে। 

এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ মে তাকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সরোয়ার জাহানের আদালত বাবুল আক্তারকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন তিনি।