ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ব্যক্তি ইগোর ফল ভোগ করতে হচ্ছে চট্টগ্রামবাসীকে: নওফেল

ব্যক্তি ইগোর ফল ভোগ করতে হচ্ছে চট্টগ্রামবাসীকে: নওফেল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২ | ০৯:৩৮ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ | ০৯:৪২

চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত ইগোর’ কারণে চট্টগ্রামবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের এক হোটেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টারপ্ল্যান (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন প্রকল্পের প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপনা এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘অনেকেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়ার সময় মনে করে এটা নিজের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান যে দেশের একটি সম্পদ সেটা তারা মনে রাখেন না। সেখানে নিজের ইগোকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। ফলে অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করে। আমরা দেখেছি, নগরের এক হাজার ৬০০ কিলোমিটারের ড্রেনে বছরের পর বছর কেউ হাতও দেয়নি। কেউ জানতে চাইলে বলা হতো, অমুক সংস্থা জলাবদ্ধতার কাজ করছে, তাই আমরা ড্রেনে হাত দিবো না। ব্যক্তির ইগোর ফল আমাদের সবাইকে ভোগ করতে হচ্ছে।’ 

সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জোর দিয়ে নওফেল বলেন, এই শহরে সিটি করপোরেশন আছে সেটা এখন আমরা চোখে দেখতে পাচ্ছি। আমরা দীর্ঘদিন সিটি করপোরেশনের চেহারা দেখতে পাইনি। সিটি করপোরেশন এখন খাল-নালায় করছে করছে। ব্যক্তি রেষারেষিতে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ৫-৬ বছর খালগুলোতে কোন হাত দেওয়া হয়নি। তাহলে এই ময়লাগুলো কোথায় যাবে?’ 

সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘অতীতেও বিভিন্ন সময়ে মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হতে দেখিনি। নগরীতে একের পর এক ভবন নির্মাণ হচ্ছে। আমরা সবুজ হারিয়ে ফেলছি। শিশুদের খেলার মাঠ নেই, পার্ক নেই। এক সময়ের খেলার মাঠ ও পার্কে বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ফলে শিশুরা মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে। অতীতেও মাস্টারপ্ল্যানে সবুজের কথা বলা হলেও সবুজের জন্য কোন জায়গা রাখা হয়নি।’ 

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ বলেন, ‘সব সংস্থাকে মিলে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। সব সংস্থাকে ওই মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু আমাদের প্রতিটি সংস্থা নিজেদের ইচ্ছেমতো একেকটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে রেখেছে। মাস্টারপ্ল্যান হয় কিন্তু এর সুফল জনগণ দেখেন না।’ 

মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, নতুন মাস্টারপ্ল্যান বলা হলেও আসলে মূলত আগের মাস্টারপ্ল্যান রিভিউ করা এবং আগে বাদ পড়া কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে, সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসাসহ সব সংস্থাকে সাথে নিয়ে এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করবো।’

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। সভায় মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক ও উপ প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈসা আনছারী।

 


আরও পড়ুন

×