
১৫ জুনের মধ্যে সম্মেলনের উদ্যোগ
দলবাজিতে বিপর্যস্ত স্বাচিপ
১৯ মে ১৪ । ০০:০০
রাজবংশী রায়
আন্তঃকোন্দল ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকারি দল সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়া, শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতি ও দলবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সংগঠনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সংগঠনের চেয়ে নেতারা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন দুর্নীতি ও দলবাজিতে। গত কয়েক বছরে অনেক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বাচিপ। ২০০৩ সালে সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাচিপের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর পর আর সম্মেলন হয়নি। বছর দুই আগে আশ্বাস দিয়েও সম্মেলন করা হয়নি। সর্বশেষ স্বাচিপের এক সভায় ১৫ জুনের মধ্যে সম্মেলনের আশ্বাস দেওয়া হয়। সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এতেও ভরসা পাচ্ছে না নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অস্বস্তিতে ফেলেছে স্বাচিপের শীর্ষ নেতৃত্বকে। অভিযোগ উঠেছে, স্বাচিপের কয়েকজন শীর্ষ নেতার ইন্ধনে যেনতেন অজুহাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
২০০৩ সালে স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক সংগঠনের সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি এবং ভোটের মাধ্যমে অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান মহাসচিব নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০০৬ সালের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা হয়নি। ওয়ান-ইলেভেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে থমকে যায় স্বাচিপের সম্মেলন প্রক্রিয়া। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১১ সালে স্বাচিপের সম্মেলনের দাবি উঠেছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দ্রুত সম্মেলন করে স্বাচিপের নতুন কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এর পর স্বাচিপের নতুন কমিটিতে পদ পেতে নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেতে নেতাকর্মীদের এমন তৎপরতায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। পরে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। দুই বছর পর গত ২৬ এপ্রিল স্বাচিপের নির্বাহী কমিটির সভায় ১৫ জুনের মধ্যে সম্মেলন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য ১৫ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। এবার সভাপতি-মহাসচিব দুই পদেই ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্রুপিং ও কোন্দলে বিপর্যস্ত স্বাচিপ :স্বাচিপ সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি ও মহাসচিব শীর্ষ দুই পদের জন্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ডা. জগলুল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ূয়া, ডা. কামরুল হাসান মিলন, ডা. আবুল হাসেম খান, ডা. শফিকুল হালিম, ডা. নাজমুল হক মুন্না, ডা. আহসান হাবিব হেলাল, ডা. তারিক মেহেদী পারভেজ, ডা. আবু রায়হান, ডা. আসাদুজ্জামান রিন্টু ও ডা. মাহফুজুর রহমান সংগঠনের বিভিন্ন পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্বাচিপে গ্রুপিং ও কোন্দল মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পেশাজীবী এ সংগঠনের শীর্ষ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন নেতারা। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে অনেকে তদবির শুরু করেছেন। স্বাচিপের কমিটি গঠনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন হাত থাকে_ এ ধারণা থেকে কেউ কেউ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা রুহুল হক ও ইকবাল আর্সলানের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রীকে অবগত করেছেন। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তার পূর্বসূরির ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ। গত মাসে স্বাচিপের নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ বিষয়টি প্রকাশও পায়। রুহুল হকের কারণে কিছুটা বেকায়দায় থাকলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ইকবাল আর্সলানের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। রুহুল হক ও ইকবাল আর্সলানবিরোধীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ডা. কামরুল হাসান খান।
স্বাচিপে গ্রপিং ও কোন্দলের কথা স্বীকার করে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু সমকালকে বলেন, স্বাচিপের সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক এবং মহাসচিব ইকবাল আর্সলান দু'জনে মিলে সিন্ডিকেট করে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
টাকার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী নয় এবং ড্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন ব্যক্তিকেও পদোন্নতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়েছেন। নিজেদের গ্রুপের অনুসারী নয়, স্বাচিপের এমন কাউকেও কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। তারা দু'জনে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বাস্থ্য খাতকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে সতর্ক ও নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তবে গ্রুপিং ও কোন্দলসহ বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান সমকালকে বলেন, স্বাচিপের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং বা কোন্দল নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি স্বাচিপের সব নেতাকর্মী অনুগত ও শ্রদ্ধাশীল। তবে চিকিৎসকদের বড় সংগঠন হিসেবে স্বাচিপে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে এবং তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই অংশ। আর্থিক অনিয়মের বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
২০০৩ সালে স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক সংগঠনের সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি এবং ভোটের মাধ্যমে অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান মহাসচিব নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০০৬ সালের মধ্যে নতুন কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা হয়নি। ওয়ান-ইলেভেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে থমকে যায় স্বাচিপের সম্মেলন প্রক্রিয়া। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১১ সালে স্বাচিপের সম্মেলনের দাবি উঠেছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দ্রুত সম্মেলন করে স্বাচিপের নতুন কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এর পর স্বাচিপের নতুন কমিটিতে পদ পেতে নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেতে নেতাকর্মীদের এমন তৎপরতায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। পরে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। দুই বছর পর গত ২৬ এপ্রিল স্বাচিপের নির্বাহী কমিটির সভায় ১৫ জুনের মধ্যে সম্মেলন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য ১৫ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। এবার সভাপতি-মহাসচিব দুই পদেই ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্রুপিং ও কোন্দলে বিপর্যস্ত স্বাচিপ :স্বাচিপ সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি ও মহাসচিব শীর্ষ দুই পদের জন্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ডা. জগলুল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ূয়া, ডা. কামরুল হাসান মিলন, ডা. আবুল হাসেম খান, ডা. শফিকুল হালিম, ডা. নাজমুল হক মুন্না, ডা. আহসান হাবিব হেলাল, ডা. তারিক মেহেদী পারভেজ, ডা. আবু রায়হান, ডা. আসাদুজ্জামান রিন্টু ও ডা. মাহফুজুর রহমান সংগঠনের বিভিন্ন পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্বাচিপে গ্রুপিং ও কোন্দল মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পেশাজীবী এ সংগঠনের শীর্ষ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন নেতারা। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে অনেকে তদবির শুরু করেছেন। স্বাচিপের কমিটি গঠনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন হাত থাকে_ এ ধারণা থেকে কেউ কেউ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা রুহুল হক ও ইকবাল আর্সলানের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রীকে অবগত করেছেন। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তার পূর্বসূরির ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ। গত মাসে স্বাচিপের নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ বিষয়টি প্রকাশও পায়। রুহুল হকের কারণে কিছুটা বেকায়দায় থাকলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ইকবাল আর্সলানের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। রুহুল হক ও ইকবাল আর্সলানবিরোধীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ডা. কামরুল হাসান খান।
স্বাচিপে গ্রপিং ও কোন্দলের কথা স্বীকার করে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু সমকালকে বলেন, স্বাচিপের সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক এবং মহাসচিব ইকবাল আর্সলান দু'জনে মিলে সিন্ডিকেট করে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
টাকার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী নয় এবং ড্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন ব্যক্তিকেও পদোন্নতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়েছেন। নিজেদের গ্রুপের অনুসারী নয়, স্বাচিপের এমন কাউকেও কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। তারা দু'জনে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বাস্থ্য খাতকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে সতর্ক ও নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তবে গ্রুপিং ও কোন্দলসহ বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান সমকালকে বলেন, স্বাচিপের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং বা কোন্দল নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি স্বাচিপের সব নেতাকর্মী অনুগত ও শ্রদ্ধাশীল। তবে চিকিৎসকদের বড় সংগঠন হিসেবে স্বাচিপে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে এবং তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই অংশ। আর্থিক অনিয়মের বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২২
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com