চলে গেলেন প্রখ্যাত সুরকার রবিন ঘোষ

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৬ । ১৪:১০ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৬ । ১৪:৪৪

সমকাল প্রতিবেদক

রবিন ঘোষ- ফাইল ছবি


'আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি', 'ফুলের কানে ভ্রমর এসে চুপি চুপি বলে যায়'সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষ আর নেই।


 


শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলশানের একটি ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।


 


অনেক দিন ধরে রবিন ঘোষ নিউমোনিয়াসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। দুই-তিন দিন আগে শরীর খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


 


তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বলেন, 'আগের দিন রাত ১০টায় আমার সঙ্গে শেষ দেখা। তখন পর্যন্ত সবই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে ক্লিনিকে যাওয়ার আগেই তিনি চলে গেলেন। শেষ কথা, শেষ দেখা আর হলো না!'


 


১৯৯৮ সালে দেশে আসার আগ পর্যন্ত রবিন ঘোষ পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এ দেশে আসার পর নীরবে-নিভৃতে সময় কাটাতেন রবিন ঘোষ ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম। তাদের একমাত্র সন্তান রনি ঘোষ।


 


রবিন ঘোষের জন্ম ইরাকে। একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তার গড়ে ওঠার পেছনে প্লেব্যাক সিঙ্গার আহমেদ রুশদীর ভূমিকা ছিল অনন্য। এটা রবিন ঘোষ নিজেও স্বীকার করতেন।


 


রবিন ঘোষ সবচেয়ে বেশি গানের সুর করেছেন পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে, যা পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে ইতিহাস হয়ে আছে। তবে সেখানে যাওয়ার আগে ঢাকায় সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন।


 


প্রয়াত পরিচালক এহতেশামের হাত ধরেই ১৯৬১ সালে 'রাজধানীর বুকে' চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন। ১৯৬৩ সালে 'তালাশ' চলচ্চিত্রের জন্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নিগার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এর পর তিনি 'চাহাত', 'আয়না', 'আম্বার' ও 'দোরিয়ান' চলচ্চিত্রের জন্য একই সম্মাননা লাভ করেন। তিন বছর আগে পাকিস্তান টেলিভিশন থেকে রবিন ঘোষ ও শবনমকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।


 


বরেণ্য এই সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com