
চিঠিপত্র
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০ । ০২:৫৫ | আপডেট: ০২ মার্চ ২০ । ০৩:১৯ | প্রিন্ট সংস্করণ
--
ট্রেনে বগি বৃদ্ধি করুন
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করে। সড়কপথে যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ ট্রেনকেই বেছে নেয়। কিন্তু বর্তমানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলমান ট্রেনটিতে পাওয়ারকারসহ মাত্র ৬টি বগি রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। ফলে সিট না পেয়ে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে। সিট পাওয়া যায় না বলে অনেক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছে। ট্রেনটির বগি বৃদ্ধি করা হলে ভোগান্তি কমবে এবং ট্রেনে যাতায়াতের বিষয়ে মানুষ আরও উৎসাহী হবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলমান ট্রেনটিতে কমপক্ষে আরও দুটি বগি যুক্ত করা হোক।
মীর নিসার আলী
মালিবাগ, ঢাকা
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক
অনিয়ন্ত্রিত ইটভাটার কারণে ভয়াবহ আকারে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এরপরও কিছু কুচক্রী মহল পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে আইন-বহির্ভূতভাবে ইটভাটা নির্মাণ করেই যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিপন্ন হচ্ছে ফসলের মাঠ। অনেক জেলার আবাসিক এলাকায় ইটভাটা নির্মাণের কারণে শব্দদূষণ ও দূর্ঘটনা লেগেই আছে। ইটভাটার যানবাহন চলাচলে অনেক রাস্তাঘাটা ভেঙে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, বিষয়টি আমলে নিয়ে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আশু পদক্ষেপ নিন।
আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
মাদকমুক্ত সমাজ চাই
দেশে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে ৬৫ লাখই যুবক। ক্রমেই মাদকের আমদানির সঙ্গে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। মাদকাসক্তের কারণে পারিবারিক কলহ, চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ বাড়ছে নানাবিধ সামাজিক অপরাধ। এভাবে চলতে থাকলে একসময় গভীর সংকটে পড়বে এ দেশ। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও তা মাদক রোধে যথেষ্ট নয়।
মাদকের এই অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন এনজিও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজের প্রত্যেকটি অংশকে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখা দরকার।
মো. জোনাইদ সিকদার
বাঁশখালী পৌরসভা, চট্টগ্রাম
নিয়ন্ত্রণহীন কিন্ডারগার্টেন
দেশে গড়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেনগুলোর কারণে শিক্ষার বিশেষ স্বকীয়তা আজ প্রশ্নের মুখে। শহর ছাড়িয়ে মফস্বল, এমনকি গ্রামেও গড়ে উঠছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। শিক্ষাবর্ষের শেষভাগে চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে নামমাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করে চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে কমিশনসহ বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে স্কুলগুলোতে সরকার প্রদত্ত পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পড়ানো হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ও মানহীন বই। এছাড়া ভর্তি ফি, মাসিক বেতনসহ নানা খাতে নেওয়া হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ। কোনো ধরনের পেশাগত প্রশিক্ষণ না থাকা শিক্ষকদের কোচিং কিংবা প্রাইভেট বাণিজ্যও রমরমা। শিক্ষার প্রকৃত মানোন্নয়নে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা নিয়ন্ত্রণহীন এসব কিন্ডারগার্টেন স্পষ্টতই বিষফোড়া। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আবু ফারুক
সদর, বান্দরবান
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com