
বর্ষসেরা মাইক্রো উদ্যোক্তা ২০২০
শিক্ষক থেকে সফল উদ্যোক্তা
০৮ মার্চ ২০ । ০০:০০
মিরাজ শামস

রেজবিন বেগম, কর্ণধার পিপলস ফুটওয়্যার, অ্যান্ড লেদার গুডস
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারির প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে রেজবিন বেগম। উত্তাল যমুনার ভাঙাগড়া দেখে কেটেছে তার ছোটবেলা। প্রকৃতিই তাকে শিখিয়েছে মনোবলে দৃঢ়চেতা হতে। তার ফল তিনি হাতেনাতে পেয়েছেন উদ্যোক্তা জীবনের প্রথম দিককার সমস্যাসংকুল দিনগুলোতে।
উচ্চশিক্ষা শেষে সাভারে বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। দু'বছর পর যোগ দেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পের শুরু এরপর; লেদার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী হাফিজুর রহমানের কাজের সূত্র ধরে।
স্বামীর চাকরির সুবাদে চামড়া খাতের বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখতেন বেশ উৎসাহ নিয়ে। তখনই তার ভাবনায় আসে চামড়াজাত পণ্য নিয়ে নিজে কিছু করার। সেই বাসনা থেকে নেমে পড়েন কাজে। এতদিনের পরিশ্রমের সরকারি স্বীকৃতিও পেলেন গত বুধবার। ওইদিন রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় এসএমই মেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বর্ষসেরা মাইক্রো উদ্যোক্তা ২০২০ পুরস্কার নেন রেজবিন।
শিক্ষক থেকে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই রেজবিন সমকালকে বলেন, 'শিক্ষকতায় থাকলে সমাজের একটি অংশের কাজ করতে পারব। ব্যবসায় এলে আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও অনেকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। পাশাপাশি আয়ও বাড়বে নিজের- এমন ভাবনা থেকে স্বামীর উৎসাহে চাকরি ছেড়ে উদ্যোগে নেমে পড়েন। ২০১২ সালে পিপলস নাইফ ইঞ্জিনিয়ারিং নামে চামড়া খাতের ব্যবহূত ডাইসের (কাটিং নাইফ) কারখানা গড়ে তোলেন। 'নাইফ' ব্যবহার করে চামড়াজাত বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। এতেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। এক্সেসরিজের বদলে জুতা তৈরিতেও আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
২০১৪ সালে একজন কর্মী ও একজন সহযোগী নিয়ে জুতা তৈরির কাজে হাত দেন রেজবিন। আশুলিয়ায় ৫০০ বর্গফুটের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে পিপলস ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস নামের কারখানা গড়ে তোলেন। শুরুতে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৭০ টাকা দামের নন-লেদারের লেডিস স্যান্ডেল তৈরি করেন। প্রথমে কারখানার সামনে টেবিলে সাজিয়েই বিক্রি করতেন। অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি বাড়ে তার তৈরি জুতার। স্থানীয় হকার থেকে শুরু করে দোকানিরা পাইকারি অর্ডার দিতে শুরু করেন। এই অনুপ্রেরণা থেকে তিনি জুতা, ব্যাগ, বেল্টসহ অন্যান্য পণ্য তৈরি করতে শুরু করেন। বৈচিত্র্যও আনেন পণ্যে।
নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর বাটাকে পণ্য সরবরাহের পর থেকে মোড় ঘুরে যায় তার ব্যবসার। এরপর এপেক্সসহ বিভিন্ন কোম্পানি ও মার্কেটের দোকানগুলোতে জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য সরবরাহ করেন। এখন ৩৫ কর্মীসহ কারখানা চালাচ্ছেন। বার্ষিক টার্নওভার ছাড়িয়েছে ৭৫ লাখ টাকা।
রেজবিন বলেন, নিজের উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়তে হয়েছে কর্মী পেতে। হাতেকলমে শিখিয়ে কিছু কর্মী তৈরির পর অন্যরা নিয়ে যেতেন। তখন খুব কষ্ট হতো। একপর্যায়ে গড়ে তোলেন পিপলস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এখানে উদ্যোক্তাদের ও কর্মীদের স্বল্প মেয়াদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
সফল এ উদ্যোক্তা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন বাড়াতে থাকেন। দেশের বিভিন্ন মেলার পাশাপাশি চীন ও ভারতের আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া ও জাপানে রপ্তানি করেছেন তিনি। চীনের সাড়ে তিন হাজার চেইন শপ রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান জুতা নেওয়ার অর্ডার দিয়েছে। নারীদের এক হাজার জোড়া জুতা নেবে তারা।
ব্যবসা করার জন্য অর্থের সংস্থান করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে জানিয়ে জাতীয় এসএমই পুরস্কারপ্রাপ্ত এ উদ্যোক্তা বলেন, তার গ্রামের বাড়ি নদীভাঙনপ্রবণ এলাকায় হওয়ায় জমি বন্ধক দিয়েও ব্যাংক ঋণ মেলেনি। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার কথা বলেন তিনি।
উচ্চশিক্ষা শেষে সাভারে বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। দু'বছর পর যোগ দেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পের শুরু এরপর; লেদার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী হাফিজুর রহমানের কাজের সূত্র ধরে।
স্বামীর চাকরির সুবাদে চামড়া খাতের বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখতেন বেশ উৎসাহ নিয়ে। তখনই তার ভাবনায় আসে চামড়াজাত পণ্য নিয়ে নিজে কিছু করার। সেই বাসনা থেকে নেমে পড়েন কাজে। এতদিনের পরিশ্রমের সরকারি স্বীকৃতিও পেলেন গত বুধবার। ওইদিন রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় এসএমই মেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বর্ষসেরা মাইক্রো উদ্যোক্তা ২০২০ পুরস্কার নেন রেজবিন।
শিক্ষক থেকে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই রেজবিন সমকালকে বলেন, 'শিক্ষকতায় থাকলে সমাজের একটি অংশের কাজ করতে পারব। ব্যবসায় এলে আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও অনেকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। পাশাপাশি আয়ও বাড়বে নিজের- এমন ভাবনা থেকে স্বামীর উৎসাহে চাকরি ছেড়ে উদ্যোগে নেমে পড়েন। ২০১২ সালে পিপলস নাইফ ইঞ্জিনিয়ারিং নামে চামড়া খাতের ব্যবহূত ডাইসের (কাটিং নাইফ) কারখানা গড়ে তোলেন। 'নাইফ' ব্যবহার করে চামড়াজাত বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। এতেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। এক্সেসরিজের বদলে জুতা তৈরিতেও আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
২০১৪ সালে একজন কর্মী ও একজন সহযোগী নিয়ে জুতা তৈরির কাজে হাত দেন রেজবিন। আশুলিয়ায় ৫০০ বর্গফুটের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে পিপলস ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস নামের কারখানা গড়ে তোলেন। শুরুতে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৭০ টাকা দামের নন-লেদারের লেডিস স্যান্ডেল তৈরি করেন। প্রথমে কারখানার সামনে টেবিলে সাজিয়েই বিক্রি করতেন। অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি বাড়ে তার তৈরি জুতার। স্থানীয় হকার থেকে শুরু করে দোকানিরা পাইকারি অর্ডার দিতে শুরু করেন। এই অনুপ্রেরণা থেকে তিনি জুতা, ব্যাগ, বেল্টসহ অন্যান্য পণ্য তৈরি করতে শুরু করেন। বৈচিত্র্যও আনেন পণ্যে।
নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর বাটাকে পণ্য সরবরাহের পর থেকে মোড় ঘুরে যায় তার ব্যবসার। এরপর এপেক্সসহ বিভিন্ন কোম্পানি ও মার্কেটের দোকানগুলোতে জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য সরবরাহ করেন। এখন ৩৫ কর্মীসহ কারখানা চালাচ্ছেন। বার্ষিক টার্নওভার ছাড়িয়েছে ৭৫ লাখ টাকা।
রেজবিন বলেন, নিজের উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়তে হয়েছে কর্মী পেতে। হাতেকলমে শিখিয়ে কিছু কর্মী তৈরির পর অন্যরা নিয়ে যেতেন। তখন খুব কষ্ট হতো। একপর্যায়ে গড়ে তোলেন পিপলস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এখানে উদ্যোক্তাদের ও কর্মীদের স্বল্প মেয়াদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
সফল এ উদ্যোক্তা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন বাড়াতে থাকেন। দেশের বিভিন্ন মেলার পাশাপাশি চীন ও ভারতের আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া ও জাপানে রপ্তানি করেছেন তিনি। চীনের সাড়ে তিন হাজার চেইন শপ রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান জুতা নেওয়ার অর্ডার দিয়েছে। নারীদের এক হাজার জোড়া জুতা নেবে তারা।
ব্যবসা করার জন্য অর্থের সংস্থান করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে জানিয়ে জাতীয় এসএমই পুরস্কারপ্রাপ্ত এ উদ্যোক্তা বলেন, তার গ্রামের বাড়ি নদীভাঙনপ্রবণ এলাকায় হওয়ায় জমি বন্ধক দিয়েও ব্যাংক ঋণ মেলেনি। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার কথা বলেন তিনি।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com