মেহেরপুরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত নৌ-সদস্যের মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন

মেহেরপুরে সর্দি-জ্বর-গলাব্যাথায় আক্রান্ত হয়ে নৌবাহিনীর সদস্য নাজমুল হকের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

নাজমুল হকের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে। অসুস্থ হয়ে তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউপির কোলা গ্রামের বাবুপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ওই বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।  

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দ্বারা খান জানান, বাবুপাড়ার খোকনের জামাতা নাজমুল হকের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জণ শুরু হওয়ায় ওই বাড়িটি লকডাউন ও আশপাশের কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। 

প্রতিবেশীরা জানান, নাজমুল হক তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থানকালে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। ঘটনাটি এলাকার অনেকেই জানেন। তাদের ধারনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। 

মেহেরপুর সদর থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক আজম আলী জানান, মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে ওই বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে লকডাউন ঘোষণা করে পরিবারের সদস্যদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

নাজমুলের শাশুড়ি জানান, গত ১০ দিন যাবত নাজমুল হক তাদের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। লিভারের সমস্যার কারণে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কুষ্টিয়ায় নেওয়া হলে একটি হাসপাতালে রাত ৮টায় মারা যায় সে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস জানান, নৌ সদস্য নাজমুল হক করোনার উপসর্গ নিয়ে কোলা গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেন। অসুস্থ বেশি হওয়ার পর কুষ্টিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মৃতের শশুর বাড়ি লকডাউনসহ পার্শবর্তী কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে। ওই পরিবারের কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।