
চীনের প্রতিবেশি ভিয়েতনামে নেই করোনায় মৃত্যু
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০ । ১৬:৩৫
অনলাইন ডেস্ক

চীন থেকে সারাবিশ্বে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও চীনের উহান থেকে মাত্র ১৩০০ কিলোমিটার দূরের দেশ ভিয়েতনামে ভাইরাসটি তেমন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
জানুয়ারিতে দেশটিতে প্রথম কোভিড-১৯’এর প্রথম দু’জন রোগী শনাক্ত হন। মাত্র তেরোশো কিলোমিটার দূরে চীনের উহানে তত দিনে আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত ১৭০। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভিয়েতনামে কোভিড ১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০।
ভিয়েতনামের লোকসংখ্যা কম না, দশ কোটির কাছাকাছি। করোনা প্রতিরোধে ভিয়েতনাম স্বাস্থ্য দফতর যা যা কাজ করেছিল, তার মধ্যে শুধু বিজ্ঞাপন নয়, সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা ছিল অন্যতম।
অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ভিয়েতনাম স্বাস্থ্য দফতর করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে। ভিয়েতনামে প্রতিটি মানুষের জন্য মানবিক মানসম্পন্ন পরিচর্যামূলক চিকিৎসার সুব্যবস্থা আছে, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাও খুব উন্নত। তাই রোগ প্রতিরোধ, রোগ হলে মৃত্যুও আটকানো সহজ হয়। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দশ কোটি জনসংখ্যার দেশে কোভিড-১৯’এর আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশোর কম।
সরকারি নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনবহুল জায়গা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সন্দেহজনক সবাইকে খুঁজে খুঁজে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার জন্য ভিয়েতনাম একটা সহজ, কম খরচের কিটও বানিয়ে ফেলেছে, অন্য দেশগুলো সেই কিট কিনতে শুরু করেছে। মার্চের শেষ অবধি হিসেব— প্রতি লাখ জনসংখ্যায় প্রায় ১৬ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও আর্থিক ক্ষমতা সীমিত হওয়ার কারণে যত পরীক্ষা হওয়া দরকার ছিল তত করে ওঠা যাচ্ছে না, তাই জোর দেওয়া হচ্ছে সংক্রমিতদের খুঁজে বার করার এবং স্থানীয় স্তরে নির্বাচিত নিয়ন্ত্রিত লকডাউনের ওপর এবং কোয়রান্টিন। ব্যবস্থাটা এমনই, কোয়রান্টিনে কাটানো এক ব্রিটিশ নাগরিকের ভাষায়, ‘থাকার জন্য এত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয় আমার বাড়িতেও নেই।’
চীন কেবল লকডাউন করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেনি, আনা যায় না। লকডাউনের সঙ্গে অতি উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও সে দেশে আছে। ইউরোপের যেসব দেশ লকডাউন করেছে, তাদের বেশির ভাগের চিকিৎসা পরিকাঠামো মজবুত, তাই ইটালি ও স্পেন বাদ দিলে বেশির ভাগ ইউরোপীয় দেশেই মৃত্যুহার এক শতাংশের আশেপাশে। এক দিনে চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় না, কিন্তু সঙ্কটকালে নতুন কিছু নির্মাণ করা সহজ। গোটা বিশ্ব দেখছে বেসরকারি চিকিৎসার আরাধনা কতটা বিফলে গিয়েছে, যে দেশ যত প্রাইভেট-নির্ভর, সে- দেশ তত বিপদে পড়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com