
'এত মানুষ সাহায্য পায় আমার খোঁজ কেউ লয় না'
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০ । ২২:৫০
এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা

লাইলী বেওয়া। ছবি: সমকাল
লাইলী বেওয়া, বয়স ৬০ বছর। বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া গ্রামে। চার মেয়ে ও দুই ছেলের মা হওয়া সত্ত্বেও কোনো কোনো সময় না খেয়ে দিন পার করতে হয়। কারণ কোনো সন্তানই তাকে ভাত-কাপড় দেয় না। এখন পর্যন্ত সরকারি ত্রাণও পাননি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, 'এত মানুষ সাহায্য পায়, কিন্তু আমার খোঁজ কেউ লয় না।' লাইলী বেওয়া জানান, স্বামী আকেম আলী মারা গেছেন প্রায় ছয় বছর আগে। তিনি ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। ছেলেমেয়েরা সবাই বিবাহিত। দুই ছেলে ঢাকায় থাকে। বড় ছেলে রাজমিস্ত্রি। ছোট ছেলে সেলুনে কাজ করে। তাদেরই নাকি সংসার চলে না। তাই তারা কেউ খোঁজ নেয় না।
লাইলী বেওয়া অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। নিজের অসুস্থতা ও করোনাভাইরাসের ভয়ে কেউ কাজে নেয় না। ত্রাণের জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করেও তিনি কিছু পাননি।
একটি ঝুপড়ি দোচালা ঘরে বাস করেন লাইলী বেওয়া। ঘরের চালা ভাঙা, বৃষ্টির পানি পড়ে মেঝেতে। তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেছেন। এখন কাজ করতে পারেন না। পাড়া-প্রতিবেশীরা সাহায্য করলে চুলায় হাঁড়ি চড়ে, না করলে চড়ে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় দিনমজুরদের ত্রাণের জন্য মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বল হয়েছে। ওই সব নম্বরে নিয়ম মেনে ফোন দিলেও সব ফোন ধরে না। অনেকের অভিযোগ, ত্রাণের জন্য তালিকা তৈরি করার সময় মুখ চিনে চিনে করা হয়েছে। তাই দরিদ্রদের মধ্যে অনেকে ত্রাণ পাননি।
তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলায় এখন পর্যন্ত ত্রাণের জন্য সাড়ে ৫১ টন চাল ও ২ লাখ ৮ হাজার টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। ত্রাণ বিতরণ চলমান রয়েছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com