
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতার চেষ্টা
গাইডলাইনে সবার চাওয়া পূরণ হবে শান্ত থাকুন
সমকালকে ইউজিসি চেয়ারম্যান
প্রকাশ: ০৭ মে ২০ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সমকাল প্রতিবেদক

অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুলল্গাহ
করোনাকালীন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন পাঠদান ও মূল্যায়ন এবং এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কারও কোনো নেতিবাচক মানসিকতা কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, করোনার কারণে আমরা সবাই একটি কঠিন সময় পার করছি। এ ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষাজীবন যেন ব্যাহত না হয়, সেটি আমাদের কাছেও মুখ্য। একইভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদেরও ছাত্রদের চাওয়াগুলো মানবিকভাবে দেখতে হবে।
গতকাল বুধবার সমকালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, করোনাকালীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পাঠদান, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন এবং ভর্তি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইউজিসি থেকে একটি গাইডলাইন দেওয়া হবে। কোনো কারণে আজ তা না পারা গেলে রোববার অবশ্যই দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই গাইডলাইনে একাধিক অপশন থাকবে। ইউজিসি থেকে আমরা আশা করছি, এই গাইডলাইন অনুসরণ করা হলে সবার চাওয়াগুলো পূরণ হবে। সেই সময় পর্যন্ত সবাইকে শান্ত থাকতে হবে।
'৩০ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনার পর থেকে কিছু শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি গ্রুপ তৈরি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। এই বিষয়টিকে আপনারা কীভাবে দেখেন?' এরকম প্রশ্নের জবাবে কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, প্রথমে আমরা ইউজিসি থেকে বলেছিলাম শুধু অনলাইনে পাঠদান করতে। কিন্তু পরে দেখলাম, পরিস্থিতিটা ভিন্ন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনগুলো ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এপ্রিল মাসে বলেছিলাম, মে মাস পর্যন্ত দেখি। মে মাসে এসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশনজট এড়াতে ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন রাখতে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাবি করেছে, তাদের ৭০ শতাংশ ক্লাস মার্চের মধ্যে হয়ে গেছে। বাকি ৩০ শতাংশ ক্লাস তারা অনলাইনে করে পরীক্ষা নিতে চায়। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আমরা একটি গাইডলাইন তৈরি করছি। সেখানে বিভিন্ন ধরনের অপশন আমরা রাখব। সে পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।
'যারা অনলাইনে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে তাদের মধ্যে কোটা আন্দোলনের অ্যাক্টিভিস্ট, রাজনৈতিক কর্মী এবং অছাত্রদেরও উপস্থিতি আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের বক্তব্য আপনারা কীভাবে দেখছেন?' জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এর পেছনে কোনো ধরনের উস্কানি থাকতে পারে। সরকার সেটি দেখবে। ইউজিসির কাজের নির্দিষ্ট পরিধি আছে। আমরা এখন গাইডলাইন তৈরি নিয়েই কাজ করছি।
'আন্দোলনের গ্রুপগুলো থেকে সব শিক্ষার্থীর জন্য একটা গোটা সেমিস্টারের টিউশন ফি মওকুফের দাবি করা হচ্ছে। এটা কি যৌক্তিক মনে করেন?' এ প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, করোনার এই সময় সবাইকে একটু মানবিক হতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলব, শিক্ষার্থীদের দিকটি মানবিকভাবে দেখুন। তাদের টিউশন ফি, সেমিস্টার ফি আদায়ে 'চাপ' না দিয়ে সুন্দরভাবে সমাধান করুন। সেক্ষেত্রে ফি মওকুফ, বিলম্বে পরিশোধের সুযোগ, কয়েকটি ইনস্টলমেন্টে ভাগ করে পরিশোধের সুযোগ ছাড়াও সমাধানের নানা পথ খোলা রয়েছে। সংশ্নিষ্টদের এসব বিবেচনা করতে হবে।
'অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, বর্তমান স্থবিরতা চলতে থাকলে তারা এক-দুই মাসের পর আর শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবেন না। এই অবস্থায় তাদের জন্য সরকারি সাহায্য বা প্রণোদনা দিতে আপনারা কি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন?' প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পদক্ষেপ নিচ্ছি বলেই তো এই সমস্যা উত্তরণের একটি ওয়ে আউট বের করার চেষ্টা করছি। সবাইকে এ পরিস্থিতি উত্তরণে আন্তরিক হতে হবে।
'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকদের বেতন ২-৩ লাখ থেকে ৪-৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বেতনের এই আকাশচুম্বী ধরনও কি এই সমস্যার একটা কারণ নয়?' জানতে চাইলে কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, শিক্ষকদের বেতন তো ট্রাস্টি বোর্ড ঠিক করে। আমরা ইউজিসি থেকে তো ঠিক করি না। অনেকে ভালো বেতন দেয়, ঠিক। তবে সব জায়গায় এমন বেতন নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কম বেতনও দেয়।
'ইউজিসির ৬ ও ১০ এপ্রিল ঘোষণার পর থেকেই অনলাইনভিত্তিক কিছু গ্রুপকে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের যে কনসার্ন, তারা হয়তো সেটাকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী প্রচারও চালাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে কি আপনারা কোনো সতর্কতা জারি করবেন?' প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আবারও বলব সবাইকে শান্ত থেকে সমাধানের জন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে। ইউজিসির গাইডলাইন অনুসরণ করলেই সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা করি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ভিত্তি শক্ত নয়। বিশেষ করে নতুন ও কম শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমস্যা প্রকট। তাই আয় ছাড়া তারা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাবেন? শিক্ষার্থীদের চলমান সেমিস্টার শেষ করা ও আগামী সেমিস্টারের ভর্তিটাই এখন সবার কনসার্ন। আমরা ইউজিসি থেকে বছরে দুটি সেমিস্টার স্বীকার করি। জানুয়ারি থেকে জুন, আর জুলাই থেকে ডিসেম্বর। তাই আগামী সেমিস্টারে ভর্তির ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ট্রাস্টি বোর্ড সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল বুধবার সমকালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, করোনাকালীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পাঠদান, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন এবং ভর্তি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইউজিসি থেকে একটি গাইডলাইন দেওয়া হবে। কোনো কারণে আজ তা না পারা গেলে রোববার অবশ্যই দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই গাইডলাইনে একাধিক অপশন থাকবে। ইউজিসি থেকে আমরা আশা করছি, এই গাইডলাইন অনুসরণ করা হলে সবার চাওয়াগুলো পূরণ হবে। সেই সময় পর্যন্ত সবাইকে শান্ত থাকতে হবে।
'৩০ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনার পর থেকে কিছু শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি গ্রুপ তৈরি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। এই বিষয়টিকে আপনারা কীভাবে দেখেন?' এরকম প্রশ্নের জবাবে কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, প্রথমে আমরা ইউজিসি থেকে বলেছিলাম শুধু অনলাইনে পাঠদান করতে। কিন্তু পরে দেখলাম, পরিস্থিতিটা ভিন্ন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনগুলো ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এপ্রিল মাসে বলেছিলাম, মে মাস পর্যন্ত দেখি। মে মাসে এসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশনজট এড়াতে ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন রাখতে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাবি করেছে, তাদের ৭০ শতাংশ ক্লাস মার্চের মধ্যে হয়ে গেছে। বাকি ৩০ শতাংশ ক্লাস তারা অনলাইনে করে পরীক্ষা নিতে চায়। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আমরা একটি গাইডলাইন তৈরি করছি। সেখানে বিভিন্ন ধরনের অপশন আমরা রাখব। সে পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।
'যারা অনলাইনে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে তাদের মধ্যে কোটা আন্দোলনের অ্যাক্টিভিস্ট, রাজনৈতিক কর্মী এবং অছাত্রদেরও উপস্থিতি আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের বক্তব্য আপনারা কীভাবে দেখছেন?' জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এর পেছনে কোনো ধরনের উস্কানি থাকতে পারে। সরকার সেটি দেখবে। ইউজিসির কাজের নির্দিষ্ট পরিধি আছে। আমরা এখন গাইডলাইন তৈরি নিয়েই কাজ করছি।
'আন্দোলনের গ্রুপগুলো থেকে সব শিক্ষার্থীর জন্য একটা গোটা সেমিস্টারের টিউশন ফি মওকুফের দাবি করা হচ্ছে। এটা কি যৌক্তিক মনে করেন?' এ প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, করোনার এই সময় সবাইকে একটু মানবিক হতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলব, শিক্ষার্থীদের দিকটি মানবিকভাবে দেখুন। তাদের টিউশন ফি, সেমিস্টার ফি আদায়ে 'চাপ' না দিয়ে সুন্দরভাবে সমাধান করুন। সেক্ষেত্রে ফি মওকুফ, বিলম্বে পরিশোধের সুযোগ, কয়েকটি ইনস্টলমেন্টে ভাগ করে পরিশোধের সুযোগ ছাড়াও সমাধানের নানা পথ খোলা রয়েছে। সংশ্নিষ্টদের এসব বিবেচনা করতে হবে।
'অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, বর্তমান স্থবিরতা চলতে থাকলে তারা এক-দুই মাসের পর আর শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবেন না। এই অবস্থায় তাদের জন্য সরকারি সাহায্য বা প্রণোদনা দিতে আপনারা কি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন?' প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পদক্ষেপ নিচ্ছি বলেই তো এই সমস্যা উত্তরণের একটি ওয়ে আউট বের করার চেষ্টা করছি। সবাইকে এ পরিস্থিতি উত্তরণে আন্তরিক হতে হবে।
'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকদের বেতন ২-৩ লাখ থেকে ৪-৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বেতনের এই আকাশচুম্বী ধরনও কি এই সমস্যার একটা কারণ নয়?' জানতে চাইলে কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, শিক্ষকদের বেতন তো ট্রাস্টি বোর্ড ঠিক করে। আমরা ইউজিসি থেকে তো ঠিক করি না। অনেকে ভালো বেতন দেয়, ঠিক। তবে সব জায়গায় এমন বেতন নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কম বেতনও দেয়।
'ইউজিসির ৬ ও ১০ এপ্রিল ঘোষণার পর থেকেই অনলাইনভিত্তিক কিছু গ্রুপকে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের যে কনসার্ন, তারা হয়তো সেটাকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী প্রচারও চালাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে কি আপনারা কোনো সতর্কতা জারি করবেন?' প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আবারও বলব সবাইকে শান্ত থেকে সমাধানের জন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে। ইউজিসির গাইডলাইন অনুসরণ করলেই সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা করি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ভিত্তি শক্ত নয়। বিশেষ করে নতুন ও কম শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমস্যা প্রকট। তাই আয় ছাড়া তারা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাবেন? শিক্ষার্থীদের চলমান সেমিস্টার শেষ করা ও আগামী সেমিস্টারের ভর্তিটাই এখন সবার কনসার্ন। আমরা ইউজিসি থেকে বছরে দুটি সেমিস্টার স্বীকার করি। জানুয়ারি থেকে জুন, আর জুলাই থেকে ডিসেম্বর। তাই আগামী সেমিস্টারে ভর্তির ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ট্রাস্টি বোর্ড সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com