চট্টগ্রামে ৬ হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

প্রকাশ: ১১ জুন ২০ । ২১:২৪ | আপডেট: ১১ জুন ২০ । ২২:০৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নির্দেশে চট্টগ্রাম চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকায় বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ছয়টি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হাসপাতালগুলো হলো- নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে, শেভরন, ডেল্টা, সিএসসিআর, মেডিকেল সেন্টার ও রয়েল হাসপাতাল। তবে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে সকলকে সর্তক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  

সরকারি নির্দেশনার পরও আড়াই মাস পর বেসরকারি সিংহভাগ হাসপাতালই করোনা উপসর্গ আছে এমন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর আসছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস চট্টগ্রামের প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন৷

সার্ভেইল্যান্স টিমের আহ্বায়ক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘মুখ্যসচিব মহোদয়ের নির্দেশে আমরা এবার এ্যাকশনে নেমেছি। তাদের অনেক অনুরোধ করা হয়েছে, সর্তক করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা যে তথ্য দিচ্ছে তার সঙ্গে গণমাধ্যমে আসা চিকিৎসা বঞ্চনার খবরের মিল নেই। তাই এবার আমরা দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বেসরকারি হাসপাতাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি। তথ্যের গরমিল পেলে এবং চিকিৎসা বঞ্চনার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রত্যেকদিন প্রতিটি হাসপাতালের সামনে হাসপাতালের যাবতীয় তথ্য নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে আমরা কঠোর ব্যবস্থায় যাবো না। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া বলে জানান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।

চট্টগ্রামে গত ৩০ মে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে চিকিৎসা সেবা মনিটরিংয়ের জন্য সার্ভেইল্যান্স টিম গঠন করা হয়। এই টিমের প্রধান করা হয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সদস্য সচিব জেলা সিভিল সার্জন, সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রামের সভাপিত ও প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক। এরপর সার্ভেইল্যান্স টিম ৩ জুন নগরীর ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানে দৈনিক কত রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তার তথ্য দিতে বলা হয়।

নগরীতে ৯০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ১৮৩টি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) আছে। এসব হাসপাতালে অনুমোদিত শয্যা আছে চার হাজার ১৫৭টি। এর মধ্যে শত শয্যার বেসরকারি হাসপাতাল আছে এক ডজনেরও বেশি।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com