করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম

সবকিছুতেই তালগোল

প্রকাশ: ২১ জুন ২০ । ০০:০০ | আপডেট: ২১ জুন ২০ । ০২:৪৬ | প্রিন্ট সংস্করণ

রাজবংশী রায়

প্রতীকী ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গত সপ্তাহে জনস্বাস্থ্যবিদসহ বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, দেশে আগামী দুই থেকে তিন বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থাকবে। তার ওই বক্তব্য ঘিরে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। এরপর ওই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্যবিদদের সমন্বয়ে গঠিত আট সদস্যের কমিটি প্রধান সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন করোনা সংক্রমণের পূর্বাভাস দিয়ে সম্প্রতি সমকালকে বলেছিলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আগামী জুলাই পর্যন্ত করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ থাকবে এবং আগস্টের শুরু থেকে হ্রাস পেতে শুরু করবে।

সরকারের তরফে গত ১ জুন সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা নিয়ন্ত্রণে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে সারাদেশকে ভাগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। এরপর ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার এবং নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর কয়েকটি এলাকার বাইরে আরও কোথাও লকডাউন কার্যকর করা হয়নি। বাকি জায়গাগুলোতে লকডাউন আদৌ চালু করা হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রশ্ন জাগছে, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? আরও কতদিন এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে? সংক্রমণ আদৌ কমবে নাকি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে? সংক্রমণ চলতে থাকলে পরবর্তী জনজীবনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কী হবে? জনস্বাস্থ্যবিদসহ সংশ্নিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরাও এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। তাদের মূল্যায়ন, করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে তালগোল পেকে গেছে। কোনো কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে না। এতে পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। একে অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা বলেও মনে করেন অনেকে। তারা বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত এবং সমন্বয়হীনতায় করোনা পরিস্থিতি মহামারি আকার করেছে। আর সবাই মিলে এই ভুলের মাশুল দিচ্ছে। এ থেকে উত্তরণ পেতে হলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধিসহ জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সংঙ্গতিপূর্ণ সব বিষয় মেনে চলতে হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় সাধন করেই করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যবিদদের বক্তব্য; ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে জনস্বাস্থ্যের বিষয়কেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে, অন্য কিছু নয়।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশের ব্যর্থতার পেছনে বেশকিছু কারণের কথা তুলে ধরেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত, করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন ছিল সঠিক সময়ে যথাযথভাবে সেগুলো গ্রহণ করা যায়নি। এ কারণে করোনা প্রতিরোধ করা যায়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা। এতে সমগ্র জনগোষ্ঠীই ঝুঁকিতে পড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক সমকালকে বলেন, সার্বিকভাবে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে। তবে তিনটি প্রধান কারণের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রথমত, স্বাস্থ্য বিভাগ রোগটির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, রোগটি প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কেও তারা অবহিত ছিলেন না। তৃতীয়ত, চিকিৎসা জন্য হাসপাতাল প্রস্তুতসহ সব বিষয়ে দক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল। এসব কারণে রোগটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সঠিক সময়ে পরিস্থিতি অনুধাবন করে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন আমরা সবাই মিলে এর মাশুল দিচ্ছি। চীনে সংক্রমণের পর যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন ছিল স্বাস্থ্য বিভাগ তা গ্রহণ করেনি। প্রথমত চীনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। চীন থেকে যখন ভাইরাসটি বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে সংক্রমণ ছড়াল ওইসব দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষকে দেশে প্রবেশ করানো হলো। প্রত্যেক নাগরিকের তার নিজ দেশে আসার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সরকারের উচিত ছিল তাদের নির্দিষ্ট স্থানে নূ্যনতম ১৪ দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে রাখা। এরপর নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে তাকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া এবং তার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন করা। এটি করা না করে তাদের কেবল স্ট্ক্রিনিং করে ছেড়ে দেওয়া হলো। এসব ব্যক্তিদের মাধ্যমেই প্রথম সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। এরপর তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশী হয়ে সারাদেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এই অব্যবস্থাপনার দায় স্বাস্থ্য বিভাগকেই নিতে হবে।

ডা. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, প্রথমে ঢাকার কয়েকটি স্থান ও মাদারীপুরে সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছিল। তখনও স্বাস্থ্য বিভাগ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই এলাকাগুলো লকডাউন করে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজটি করলেও আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এরপর ঢাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরেও সংক্রমণ ছড়াল। কিন্তু এসব এলাকায় যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন ছিল তা করা হয়নি। এতে সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরাং কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া করোনা কোনোদিনও নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলে মনে করেন তিনি।

চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব সমকালকে বলেন, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে বলা যায়, তারা করোনার পেছনে ছুটছেন। এভাবে পেছনে ছুটে তো কাউকে প্রতিরোধ করা যায় না। প্রতিরোধ করতে হলে আগে ছুটতে হবে।

জোনভিত্তিক কার্যক্রমের উদাহরণ তুলে ধরে ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে দেশকে ভাগ করে কার্যক্রম শুরুর কথা বললেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কার্যক্রমটি শুরু করতে পারেননি। অথচ করোনার সংক্রমণ তো থেমে নেই। এই সময়ে আরও ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ ঘোষণার পরপর এটি কার্যকর করা গেলে পরিস্থিতি এমন হতো না। শুরু থেকে প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এভাবে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আর এখন তো ঘোর অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

অনিয়ম-দুর্নীতিরও বিস্তর অভিযোগ : করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকার হিমশিম খাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ রোগটি প্রতিরোধে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকার কথা সেই স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে অনেক বিষয়ের খবর নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কেনাকাটা ও নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুরু থেকেই বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে শুরু থেকেই করোনা প্রতিরোধে সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল।

প্রথমে এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে আলোচনায় আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ওই মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা তা আমলে নেননি। মাস্কের পর পিপিইসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনাকাটা নিয়ে একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। গোয়োন্দা সংস্থাও এসব অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নামে সরকারের হাইকমান্ড। এরই ধারাহিকতায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, সিএমএসডি পরিচালক, কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কয়েক কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে ওই দুর্নীতির সিন্ডিকেটের আরও কয়েকজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেনাকাটার পর ওই চক্রটি এখন নিয়োগ বাণিজ্যে নেমেছেন। ওই চক্রটি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে অন্ধকারে রেখেছেন।

চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী সমকালকে বলেন, করোনা প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন ছিল সেগুলোর একটিও যথাযথভাবে নেওয়া হয়নি। করোনা প্রতিরোধের পরিবর্তে তারা কেনাকাটার নামে লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন। নমুনা পরীক্ষা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং থেকে শুরু করে হাসপাতালে সেবাপ্রাপ্তি কোনটি তারা সঠিকভাবে করতে পেরেছেন? এখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির জন্য শয্যা নেই। রোগটি প্রতিরোধের জন্য যথাযথ কোনো পদক্ষেপও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা এসব বিষয়ে নজর দিচ্ছেন বলেও মনে হচ্ছে না। এরপরও তারা পদ আঁকড়ে বসে আছেন। আর থাকবেন নাই বা কেন? পদে থাকলেই তো আয় হয়। হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছে আর তারা লুটপাট চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও তারা আমলে নিচ্ছেন না। এর বড় উদাহরণ জোনভিত্তিক লকডাউন কার্যকর না করা। চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের সরিয়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন তিনি।

জোনভিত্তিক কার্যক্রম অনিশ্চিত : গত ১ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এই তিন জোনে ভাগ করে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্র সমকালকে জানিয়েছেন, জোনভিত্তিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমে এলাকাভিত্তিক ম্যাপিং শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আক্রান্ত অনেককে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অনেকের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক হাজার ব্যক্তির ঠিকানার ঘরে শুধু ঢাকা লেখা রয়েছে। এতে করে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

অন্য একটি সূত্র জানায়, মোবাইল ট্র্যাকিং করে আক্রান্তদের খুঁজে বের করার চিন্তা করা হয়েছিল। এজন্য আইসিটি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপস তৈরি করে। কিন্তু ওই অ্যাপসের মাধ্যমে কার্যকর ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় অ্যানালগ পদ্ধতিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হলে কয়েক বছর লেগে যাবে। সুতরাং আপাতত ম্যাপিং করে এলাকাভিত্তিক লকডাউনসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ওই সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোও মুখ খুলছে না।

জোনভিত্তিক কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে সংশ্নিষ্ট দু'জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললেও তাদের কেউই কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সঠিক কিছু বলতে পারেননি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ম্যাপিং করার কাজটি করতে তারা চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবতা মানলে, এটি করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি। সংশ্নিষ্ট অন্য একটি মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, জোনভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করা সত্যিকার অর্থেই কঠিন হয়ে পড়েছে।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, জোনভিত্তিক কার্যক্রম শুরু হয়নি, এটি সঠিক নয়। রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর জেলার কয়েকটি এলাকায় লকডাউন কার্যক্রম শুরু করেছি। দেশের অন্যান্য এলাকাগুলোতে ম্যাপিং চলছে। যখন যে এলাকায় ম্যাপিং সম্পন্ন হবে, তখন ওই এলাকায় লকডাউন বা জোনভিত্তিক কার্যক্রম শুরু হবে। এটি নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দিকনির্দেশনা নিয়ে তারা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com