
অবিক্রিত মদ দিয়ে তৈরি হচ্ছে জ্বালানি
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০ । ১৪:১২
অনলাইন ডেস্ক

ছবি: সিএনএন
মহামারি করোনায় লকডাউনে পড়ে বন্ধ ছিল হাজার হাজার বার-রেস্তোরাঁ। ক্রেতা না আসায় অবিক্রিত মদ-বিয়ারের স্টক জমে গেছে শুঁড়িখানাগুলোয়। এসব পণ্যের বেশির ভাগই আবার হয়ে গেছে মেয়াদোর্ত্তীণ। ফেলে দিলে অনেক টাকাপয়সা লোকসান গুণতে হবে। তাই বুদ্ধি করে কাজে লাগানো হচ্ছে ওইসব মদ।
তবে পুরনো মদে নতুন লেবেল লাগিয়ে নয়, এগুলো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। আর সেই জ্বালানি কাজে লাগানো হচ্ছে পানি প্রক্রিয়াজাত কারখানায়। অবিক্রিত মদের এই পুনর্ব্যাবহার চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। খবর সিএনএনের।
লকডাউনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার মদ শিল্প বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। শুধু মে মাসেই দেশের অন্যতম শুঁড়িখানা লায়ন বিয়ারের ৪৫ লাখ লিটার বিয়ার অবিক্রিত রয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলেইডের শুড়িখানাগুলোর এমন অবিক্রিত লাখ লাখ লিটার বিয়ার প্রতিদিন জড়ো করা হচ্ছে স্থানীয় গ্লেনেলগ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে।
পানির কারখানাটির জন্য যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, সেটি আসে আশপাশের শিল্পকারখানার কেমিক্যাল বর্জ্য মিশ্রিত সুয়্যারেজের পানি পুনঃপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়োগ্যাস তৈরি করে। এতোদিন যতটা বায়োগ্যাস তারা তৈরি করে নিতো, এখন বিয়ার ব্যবহার করার ফলে সেই জ্বালানি উৎপাদন বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে।
কারখানাটির সিনিয়র প্রডাকশন ম্যানেজার লিসা হানান্ত জানান, লকডাউনের কয়েক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে দেড় লাখ লিটার বিয়ার আসছে তাদের কারখানায়। বিয়ার ব্যবহার করে জ্বালানি উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, গত মে মাসে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ঘনমিটার বায়োগ্যাস উৎপাদন হয়েছে। জুনে উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার।
লিসা বলেন, এতো পরিমাণ জ্বালানি দিয়ে আমাদের কারখানায় ব্যবহারের পরও অন্তত ১২শ’ পরিবারের দৈনন্দিন জ্বালানি চাহিদা মেটানো যায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কারখানার বায়োগ্যাস প্লান্ট ভয়াবহ এই পানীয় নিজেই পান করে পরিবেশের কিছুটা হলেও উপকার করছে। আর বিয়ারে যে এতো পরিমাণ বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যায়, তাতে আমরা কিছুটা আশ্চর্যই হয়েছি।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com