
অন্তঃসত্ত্বাকে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন, পুঁতে ফেলতে খোঁড়া হয় গর্তও
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০ । ২১:৩৬
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘিতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন ও ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে পুঁতে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রতিবেশীরা ফাল্গুনি নামে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার ও তার স্বামী নাইমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। বুধবার উপজেলার নামা পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০১৫ সালে ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাইমের সঙ্গে নওগাঁর এনায়েতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাল্গুনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী নাইম ও শাশুড়ি রেহেনা প্রায়ই ফাল্গুনিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। তাদের দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বুধবার বিকেলে স্ত্রী ফাল্গুনি পাশের তার চাচি শাশুড়ির বাড়িতে গেলে তা পছন্দ হয়নি স্বামী ও শাশুড়ির। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে স্বামী নাইম ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ফাল্গুনিকে ঘরে আটকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে। এরপর হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ঘরের বারান্দায় গর্ত খোঁড়ে। এ সময় ফাল্গুনি কৌশলে বাঁধন খুলে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের জানালা ভেঙে ফাল্গুনিকে উদ্ধার ও নাইমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ফাল্গুনির বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই ফাল্গুনিকে নির্যাতন করত জামাই। এ ব্যাপারে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিশও হয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com