যশোরে চিকিৎসক ও পুলিশের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

যশোরে দুর্নীতি মামলায় এক চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারক শনিবার এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। জখমের মিথ্যা সনদ তৈরি করে আদালতে দুর্বল চার্জশিট দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন আহত এক ব্যক্তি।

আসামিরা হলেন- যশোর জেনারেল হাসপাতালের সাবেক ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কেশবপুর থানার সাবেক উপপরিদর্শক হিরন্ময় সরকার। তাদের মধ্যে ডা. মামুন বর্তমানে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে এবং উপপরিদর্শক হিরন্ময় বাগেরহাট সদর থানায় কর্মরত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে কেশবপুরের শ্রীফলা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছেরমত আলী নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে তার ভাই কেশবপুর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্তের সময় এসআই হিরন্ময় সরকার ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগসাজশে মিথ্যা জখমি সনদ তৈরি করে তার ভিত্তিতে আদালতে দুর্বল চার্জশিট জমা দেন। বিষয়টি ছেরমত আলীর নজরে এলে ২০১৮ সালের ২১ মে জেলা ও দায়রা জজ আদলতে ওই দু'জনকে আসামি করে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন। আদালতের আদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল তদন্ত শেষে ওই দু'জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৯ জুলাই সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট জমা দেন। শনিবার শুনানি শেষে বিচারক চার্জশিট গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।