করোনা

দ্বিতীয়-তৃতীয় দফায়ও আক্রান্তের তথ্য

বিশ্বে ২৯ জন দ্বিতীয়বার সংক্রমিত: দেশে একজন তৃতীয়বার এবং ২৫ জন দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়েছেন

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০ । ০০:০০ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০ । ০৩:২৭ | প্রিন্ট সংস্করণ

রাজবংশী রায়

দেশে দ্বিতীয়বার, এমনকি তৃতীয়বারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সন্ধান মিলেছে। একাধিকবার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তিনবার আক্রান্ত হওয়া রোগী পাওয়া গেছে একজন। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। একই সঙ্গে এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী মিলিয়ে আরও ১৭ জন দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা শিশু হাসপাতালে এক চিকিৎসক ও দুই কর্মচারী দ্বিতীয়বার করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এদের বাইরে আরও পাঁচজনের দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিললেও তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্নিষ্ট হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত ২৯ জনের দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও তৃতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ধরে নেওয়া হচ্ছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এই চিকিৎসকই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি তৃতীয়বারের মতো করোনা আক্রান্ত হলেন।

সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, প্রথমবার করোনা সংক্রমিত হওয়ার পরবর্তী ছয় মাস পর্যন্ত কারও শরীরে ভাইরাসটি সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। এ সময়ে একজন আক্রান্ত হলেও হতে পারেন। তবে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হলে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এর বেশি কোনো মন্তব্য করা যাবে না। তবে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার কিছু খবর তাদের কাছেও এসেছে বলে জানান তিনি।

তৃতীয়বার করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি: শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক নীহার রঞ্জন দাস তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৭ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষায় তৃতীয়বারের মতো তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ডা. নীহার রঞ্জন দাস সমকালকে বলেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভব করার পর তিনি নমুনা পরীক্ষার করান। ১৮ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তবে লক্ষণ ও উপসর্গ মৃদু থাকায় তিনি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। ৯ দিনের মাথায় নমুনা পরীক্ষার পর তার করোনা নেগেটিভ আসে।

তিনি জানান, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আবারও করোনার লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দেয়। ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার দ্বিতীয়বারের মতো করোনা পজিটিভ আসে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে আগের তুলনায় তার জ্বর ও শরীর ব্যথা বেশি ছিল। খাবারও স্বাদহীন লেগেছে বেশি। দ্বিতীয় দফায়ও তিনি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। অ্যান্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবনের পর জ্বর কমে যায়। ২১ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে। আরও সাত দিন বাসায় অবস্থান করে তিনি আবারও করোনা ইউনিটে কাজে যোগদান করেন।

তৃতীয় দফায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য তুলে ধরে ডা. নীহার বলেন, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবারও তার শরীরে করোনার লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দেয়। তবে তৃতীয় দফায় শরীরের তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। সঙ্গে শরীরে মারাত্মক ব্যথা ও কাশি রয়েছে। কিছুটা শ্বাসকষ্টও অনুভব করছেন। এ অবস্থায় ১৭ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। গতকাল রোববার পর্যন্ত তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। আগের দুই দফার তুলনায় তৃতীয় দফার সংক্রমণে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বলতা বেশি অনুভব করছেন। জ্বরের পাশাপাশি শরীরে ব্যথা ও কাশি রয়েছে। এবারও অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করছেন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের যে ১৭ জন দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে আটজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও পাঁচজন কর্মচারী রয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আট চিকিৎসক হলেন- গোবিন্দ চন্দ্র রায়, আহমাদ সিরাজী, মোজাম্মেল হক দুলাল, আশরাফুল ইসলাম, আসমা বিনতে আনোয়ার, মাহমুদা ইসলাম স্নিগ্ধা, এস এম মেহেদী ও ফেরদৌস রহমান প্রোলেক্স। নার্সদের মধ্যে রয়েছেন- সুকুমার চন্দ্র বিশ্বাস, মাইনুল হাসান ও ইয়াসমিন। কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন- দুলু মিয়া ও ইসা মিয়া।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া সমকালকে বলেন, করোনা ইউনিটে চিকিৎসা দিতে গিয়ে তার হাসপাতালের শতাধিক চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন। কিন্তু ডা. নীহার রঞ্জনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাত মাসের মধ্যে তিনি তৃতীয়বারের মতো সংক্রমিত হলেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক। প্রথম দুই দফায় তার লক্ষণ-উপসর্গ মৃদু ছিল। তবে তৃতীয় দফার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ডা. নীহারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। একই সঙ্গে হাসপাতালের অন্যান্য সহকর্মীও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন। হাসপাতাল পরিচালক আরও বলেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হলেও তারা প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন।

ঢাকা শিশু হাসপাতালে তিনজন দ্বিতীয়বার আক্রান্ত: ঢাকা শিশু হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসক ও দুই কর্মচারীর শরীরে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. শফী আহমেদ মুয়াজ। আক্রান্তরা হলেন- হাসপাতালের চিকিৎসক হাসিবা ইয়াজদানি, ওয়ার্ডবয় অহিদুর রহমান এবং কর্মচারী অমিত কুমার শীল।

ডা. হাসিবা ইয়াজদানি সমকালকে বলেন, প্রথম দফায় ১৫ মে তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তবে লক্ষণ-উপসর্গ মৃদু ছিল। এর ১৪ দিনের মাথায় নমুনা পরীক্ষায় তার পজিটিভ আসে। তবে ২১ দিনে মাথায় ৪ জুন নেগেটিভ শনাক্ত হয়। পরে তিনি হাসপাতালে কাজে যোগদান করেন। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আবারও জ্বর অনুভব করেন। একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও শরীর ব্যথা ছিল। ৩০ জুন দ্বিতীয়বারের মতো তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। ১৪ দিনের মাথায় নমুনা পরীক্ষায় আবারও পজিটিভ আসে। তবে ২১ দিনের মাথায় ২২ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ এসেছে।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়ায় তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করেন ডা. হাসিবা ইয়াজদানি। তিনি বলেন, প্রথম দফায় তার সংক্রমণ মৃদু ছিল। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর তার শারীরিক তেমন কোনো সমস্যাও ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে তার শ্বাসকষ্ট ছিল। জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা ছিল। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও প্রায় দুই মাস তিনি শারীরিকভাবে খুব দুর্বলতা অনুভব করতেন। এর বাইরেও কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। তবে বর্তমানে ভালো আছেন বলে জানান তিনি।

একই হাসপাতালের কর্মচারী অমিত কুমার শীলও দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমিত হয়ে বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন। অমিত কুমার সমকালকে বলেন, জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভব করায় তিনি ল্যাবে করোনার নমুনা দেন। ৩১ মে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। তবে লক্ষণ ও উপসর্গ মৃদু ছিল। ১৫ জুন দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে। এরপর তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেন। এরই মধ্যে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বর, শরীর ব্যথা অনুভব করায় আবারও ল্যাবে নমুনা দেন। ১৮ অক্টোবর রিপোর্টে তার দ্বিতীয়বারের মতো করোনা পজিটিভ আসে। বর্তমানে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও শরীর ব্যথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় অহিদুর রহমান দ্বিতীয় দফায় গত ২০ অক্টোবর করোনা পজিটিভ হয়েছেন। অহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, প্রথমবার নমুনা পরীক্ষার পর ২৬ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে। ২১ দিনের মাথায় ১৭ মে দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হন। পরে হাসপাতালে যোগদান করেন। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জ্বর ও শরীর ব্যথা অনুভব করেন। পরে ২০ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। বর্তমানে তার শরীরে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট আছে। খাবারেও কোনো স্বাদ-গন্ধ পাচ্ছেন না। শারীরিকভাবেও খুব দুর্বলতা অনুভব করছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ও নাপা সেবন করছেন।

আরও পাঁচজন দ্বিতীয়বার আক্রান্ত: দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হওয়া আরও পাঁচজনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চারজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। সংশ্নিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ও করোনা নমুনা পরীক্ষার ল্যাবের সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীল সূত্র চারজনের দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের এক স্বজনও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিচালক সমকালকে বলেন, দ্বিতীয় দফায় সংক্রমিত হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য তার কাছে নেই। তবে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমিত হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। তার এক স্বজনও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ যেখানে সারাবিশ্বে দ্বিতীয় দফায় মাত্র ২৯ জনের মতো সংক্রমিত হওয়ার প্রমাণ রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশেই যদি ৮ থেকে ৯ জন দ্বিতীয় দফায় সংক্রমিত হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এ নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

প্রথম দফায় আক্রান্তদের সতর্ক করে অধিদপ্তর থেকে ফোন :প্রথম দফায় আক্রান্ত অন্তত পাঁচজন সমকালকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে সতর্ক করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাদের।

দ্বিতীয় দফায় কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা- একজনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হওয়ার বেশকিছু তথ্য আসার পর প্রথম দফায় আক্রান্তদের ফোন করে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেনি।

গবেষণা প্রয়োজন, মত বিশেষজ্ঞদের: চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. সমীর কুমার সাহা সমকালকে বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ২৯ জনের মতো আক্রান্ত হওয়ার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় দফায় সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা এখনও প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। কারণ ভাইরাসের সংখ্যা বেশি না হলে সিক্যুয়েন্স করা সম্ভব হয় না। সিক্যুয়েন্সিং করতে পারলেই জানা সম্ভব হবে- ব্যক্তি একই ভাইরাস নাকি অন্য কোনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। যদি দুই রকমের ভাইরাস হয়, তাহলে নিশ্চিত করে বলা যাবে ব্যক্তি প্রথম, দ্বিতীয় নাকি তৃতীয় দফায় সংক্রমিত হয়েছেন। যেগুলোতে কম ভাইরাস ছিল সেগুলো সিক্যুয়েন্স করার চেষ্টা করছি। এটি সফল হলে দ্রুতই এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো সম্ভব হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় সংক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা খুব বেশি নয়। গত এক মাস ধরে আমাদের দেশে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের কিছু তথ্য শোনা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। ভাইরাসটির সিক্যুয়েন্স করা খুব জরুরি। কারণ সিক্যুয়েন্স করা ছাড়া এ বিষয়ে পুরোপুরি জানা সম্ভব হবে না।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com