
ম্যাবের অনলাইন গোলটেবিল
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জে জয়ী হতেই হবে
১৮ নভেম্বর ২০ । ০০:০০
সমকাল প্রতিবেদক

পরিচ্ছন্ন ও নির্মল পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের রোল মডেল। কিন্তু আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জয়ী হতেই হবে।
গতকাল পৌরসভায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা তথা এসডিজি-৬ বাস্তবায়ন বিষয়ে এক অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ম্যাব) উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন। বিশ্ব টয়লেট দিবস সামনে রেখে এই অনলাইন আলোচনা সঞ্চালনা করেন দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি।
মুস্তাফিজ শফি বলেন, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছোট বিষয় নয়। সম্মিলিতভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই হবে। আমরা লড়াকু জাতি, লড়াই করে সফল হবো। আমাদের সব পৌরসভা সফল হোক। জনস্বার্থেই এই সাফল্য জরুরি। এই চ্যালেঞ্জে দৈনিক সমকাল পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা জনগণের জন্য জনগণের পাশে থাকতে চাই। জনগণের কথা বলতে চাই। সবাই মিলে আলোচনা করতে করতেই বড় আলোচনার জায়গা তৈরি হবে। এভাবে সবার প্রচেষ্টাতেই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে।
অনলাইন আলোচনা সভার পটভূমি তুলে ধরে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ম্যাব) সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ১৯৯০ সালেও দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগে অভ্যস্ত ছিল; বর্তমানে তা এক শতাংশেরও নিচে। কিন্তু অনিয়মিত পয়ঃবর্জ্য নিস্কাশনের কারণে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে। পৌর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জাতীয় পর্যায় থেকে নির্দেশনা, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা (এফএসএম) সেল গঠন, প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ, এফএসটি প্লান্টের জন্য জমি কেনা, এফএসটিপি নির্মাণ ও ভ্যাকুটেগ সরবরাহ করা, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে পৌরসভায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।
বেসরকারি সংগঠন প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের স্ট্র্যাটেজিক লিড উত্তম কুমার সাহা বলেন, পয়ঃবর্জ্য নিস্কাশনসহ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার দরকার। সুসমন্বয়ও অব্যাহত থাকা জরুরি।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সফল ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র ও ম্যাবের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, শহরের সাধারণ মানুষ খুব ভালোভাবে আইন মানেন। কিন্তু বড়লোক ও রাজনৈতিক নেতারা আইন মানেন না। তারা এখনও টয়লেটের লাইন সরাসরি ড্রেনে দিয়ে দেন। এতে বর্জ্য সরাসরি নদীতে চলে যায়। যেখানে মেয়রদের সঙ্গে এমপির দূরত্ব আছে, সেখানেই এই সুযোগটা কাজে লাগানো হচ্ছে।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরির বিষয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কনসালট্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে স্যানিটেশন বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট অধিশাখা পলিসি প্রণয়ন করে। ২০১৭ সালে চারটি প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি কাঠামো প্রণয়ন করা হয়। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য চারটি পৃথক কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। পল্লি ও পৌরসভার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, অনুমোদন ও প্রকাশ হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান না করতে পারলে আইনি কাঠামো প্রণয়ন করে লাভ হবে না।
কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার মেয়র মো. আবুল খায়ের বলেন, জনগণ উন্নয়ন ভোগ করেন, তাদেরও কিছু করণীয় রয়েছে। উন্নয়নকে কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, সেটার জন্য জনগণকে আরও আন্তরিক হতে হবে।
পয়ঃবর্জ্য নিয়ে সরকারের নগর প্রকল্পের বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল হাসান বলেন, ১১৭টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও পয়ঃবর্জ্য প্রকল্প চালু রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় সমস্যা জমির অভাব। আধুনিক ব্যবস্থাপনায় জমি কমিয়ে প্লান্ট করার চিন্তা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র ও ম্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, আইনি কাঠামো তখনই বাস্তবায়ন করা যাবে, যখন জনগণের সহায়তা থাকবে। পৌরসভায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র এবং ম্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক জায়গায় পৌরসভা হয়েছে। ফলে অনেক পৌরসভা অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করেনি।
দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ম্যাবের আইসিটি সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। কিন্তু তারা প্রকল্পে পৌরসভাকে খুবই কম গুরুত্ব দেয়। ফলে মানুষ সুবিধা পাচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে পৌরসভাকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শ্রীপুর পৌরসভার সচিব ও ম্যাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরকার দলিল উদ্দিন বলেন, দেশে ডাম্পিং স্টেশনের জন্য ১০ শতাংশ পৌরসভার জমি আছে। যেসব খাসজমি অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে, সেগুলো ডাম্পিংয়ের জন্য দেওয়া হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুন্দরভাবে হবে।
আইটিএন-বুয়েটের নলেজ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট মাকফি ফারাহ বলেন, আইটিএন থেকে সবার দক্ষতা তৈরিতে কাজ করি। ৩০০ মেয়রের সঙ্গে কর্মশালা করেছি। বর্তমানে আমরা মাস্টার ট্রেনার তৈরি করছি।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভূমিকা সম্পর্কে এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের অ্যাডভোকেসি অ্যাডভাইজার শামীম আহসান চৌধুরী বলেন, স্থানীয় সরকার আইনে ২০০৯-এর ৯৫, ৯৬ ও ৯৭(খ) ধারায় পরিস্কারভাবে বলা আছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ রকম কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি তারা এড়িয়ে যেতে পারে না।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে পৌরসভার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাভার পৌরসভার মেয়র ও ম্যাবের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল গণি বলেন, সাভার পৌরসভায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করে; কিন্তু এখানে স্থায়ী কোনো ডাম্পিং স্টেশন নেই। ডাম্পিং স্টেশনের জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে আমরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। জমির অভাবে কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিডব্লিউআইএস-এফএসএম সাপোর্ট সেলের সিইও ড. আব্দুল্লাহ আল মুয়ীদ বলেন, নিরাপদ স্যানিটেশনের শুরু টয়লেট থেকে। টয়লেটের বর্জ্য যদি ট্রিটমেন্ট না হয়, তাহলে এটি নিরাপদ হবে না।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ম্যাবের ভূমিকা তুলে ধরে সংগঠনের প্রকল্প সমন্বয়কারী ফয়সাল মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ম্যাব বাংলাদেশের সব পৌরসভায় প্রতিনিধিত্বকারী একটি প্রতিষ্ঠান। ২০০৩ সাল থেকেই ম্যাব পৌরসভার অধিকার আদায়ে এবং পৌরবান্ধব কার্যক্রম ও নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করে আসছে। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি কাঠামো প্রণয়নে ম্যাব সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
গতকাল পৌরসভায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা তথা এসডিজি-৬ বাস্তবায়ন বিষয়ে এক অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ম্যাব) উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন। বিশ্ব টয়লেট দিবস সামনে রেখে এই অনলাইন আলোচনা সঞ্চালনা করেন দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি।
মুস্তাফিজ শফি বলেন, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছোট বিষয় নয়। সম্মিলিতভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই হবে। আমরা লড়াকু জাতি, লড়াই করে সফল হবো। আমাদের সব পৌরসভা সফল হোক। জনস্বার্থেই এই সাফল্য জরুরি। এই চ্যালেঞ্জে দৈনিক সমকাল পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা জনগণের জন্য জনগণের পাশে থাকতে চাই। জনগণের কথা বলতে চাই। সবাই মিলে আলোচনা করতে করতেই বড় আলোচনার জায়গা তৈরি হবে। এভাবে সবার প্রচেষ্টাতেই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে।
অনলাইন আলোচনা সভার পটভূমি তুলে ধরে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ম্যাব) সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ১৯৯০ সালেও দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগে অভ্যস্ত ছিল; বর্তমানে তা এক শতাংশেরও নিচে। কিন্তু অনিয়মিত পয়ঃবর্জ্য নিস্কাশনের কারণে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে। পৌর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জাতীয় পর্যায় থেকে নির্দেশনা, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা (এফএসএম) সেল গঠন, প্রণোদনা, প্রশিক্ষণ, এফএসটি প্লান্টের জন্য জমি কেনা, এফএসটিপি নির্মাণ ও ভ্যাকুটেগ সরবরাহ করা, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে পৌরসভায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।
বেসরকারি সংগঠন প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের স্ট্র্যাটেজিক লিড উত্তম কুমার সাহা বলেন, পয়ঃবর্জ্য নিস্কাশনসহ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার দরকার। সুসমন্বয়ও অব্যাহত থাকা জরুরি।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সফল ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র ও ম্যাবের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, শহরের সাধারণ মানুষ খুব ভালোভাবে আইন মানেন। কিন্তু বড়লোক ও রাজনৈতিক নেতারা আইন মানেন না। তারা এখনও টয়লেটের লাইন সরাসরি ড্রেনে দিয়ে দেন। এতে বর্জ্য সরাসরি নদীতে চলে যায়। যেখানে মেয়রদের সঙ্গে এমপির দূরত্ব আছে, সেখানেই এই সুযোগটা কাজে লাগানো হচ্ছে।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরির বিষয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কনসালট্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে স্যানিটেশন বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট অধিশাখা পলিসি প্রণয়ন করে। ২০১৭ সালে চারটি প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি কাঠামো প্রণয়ন করা হয়। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য চারটি পৃথক কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। পল্লি ও পৌরসভার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, অনুমোদন ও প্রকাশ হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান না করতে পারলে আইনি কাঠামো প্রণয়ন করে লাভ হবে না।
কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার মেয়র মো. আবুল খায়ের বলেন, জনগণ উন্নয়ন ভোগ করেন, তাদেরও কিছু করণীয় রয়েছে। উন্নয়নকে কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, সেটার জন্য জনগণকে আরও আন্তরিক হতে হবে।
পয়ঃবর্জ্য নিয়ে সরকারের নগর প্রকল্পের বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল হাসান বলেন, ১১৭টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও পয়ঃবর্জ্য প্রকল্প চালু রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় সমস্যা জমির অভাব। আধুনিক ব্যবস্থাপনায় জমি কমিয়ে প্লান্ট করার চিন্তা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র ও ম্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, আইনি কাঠামো তখনই বাস্তবায়ন করা যাবে, যখন জনগণের সহায়তা থাকবে। পৌরসভায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র এবং ম্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক জায়গায় পৌরসভা হয়েছে। ফলে অনেক পৌরসভা অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করেনি।
দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ম্যাবের আইসিটি সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। কিন্তু তারা প্রকল্পে পৌরসভাকে খুবই কম গুরুত্ব দেয়। ফলে মানুষ সুবিধা পাচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে পৌরসভাকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শ্রীপুর পৌরসভার সচিব ও ম্যাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরকার দলিল উদ্দিন বলেন, দেশে ডাম্পিং স্টেশনের জন্য ১০ শতাংশ পৌরসভার জমি আছে। যেসব খাসজমি অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে, সেগুলো ডাম্পিংয়ের জন্য দেওয়া হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুন্দরভাবে হবে।
আইটিএন-বুয়েটের নলেজ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট মাকফি ফারাহ বলেন, আইটিএন থেকে সবার দক্ষতা তৈরিতে কাজ করি। ৩০০ মেয়রের সঙ্গে কর্মশালা করেছি। বর্তমানে আমরা মাস্টার ট্রেনার তৈরি করছি।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভূমিকা সম্পর্কে এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের অ্যাডভোকেসি অ্যাডভাইজার শামীম আহসান চৌধুরী বলেন, স্থানীয় সরকার আইনে ২০০৯-এর ৯৫, ৯৬ ও ৯৭(খ) ধারায় পরিস্কারভাবে বলা আছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ রকম কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি তারা এড়িয়ে যেতে পারে না।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে পৌরসভার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাভার পৌরসভার মেয়র ও ম্যাবের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল গণি বলেন, সাভার পৌরসভায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করে; কিন্তু এখানে স্থায়ী কোনো ডাম্পিং স্টেশন নেই। ডাম্পিং স্টেশনের জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে আমরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। জমির অভাবে কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিডব্লিউআইএস-এফএসএম সাপোর্ট সেলের সিইও ড. আব্দুল্লাহ আল মুয়ীদ বলেন, নিরাপদ স্যানিটেশনের শুরু টয়লেট থেকে। টয়লেটের বর্জ্য যদি ট্রিটমেন্ট না হয়, তাহলে এটি নিরাপদ হবে না।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ম্যাবের ভূমিকা তুলে ধরে সংগঠনের প্রকল্প সমন্বয়কারী ফয়সাল মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ম্যাব বাংলাদেশের সব পৌরসভায় প্রতিনিধিত্বকারী একটি প্রতিষ্ঠান। ২০০৩ সাল থেকেই ম্যাব পৌরসভার অধিকার আদায়ে এবং পৌরবান্ধব কার্যক্রম ও নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করে আসছে। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি কাঠামো প্রণয়নে ম্যাব সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com